• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৫৩:৫৯ (18-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৫৩:৫৯ (18-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

কুমিল্লায় কসমেটিক বিক্রেতাকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড, স্বামীর কারাদণ্ড

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার বরুড়ায় বই ও কসমেটিক বিক্রেতা মো. আক্তারুজ্জামানকে লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্বামীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ১৬ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোসা. হাফেজা বেগম তাসমিহা (২৮) কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহীন ভূঁইয়ার স্ত্রী।৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহীন ভূঁইয়া (৩৫) একই গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রাত ৯টা থেকে ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টায় আসামিরা যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরের পানিতে ফেলে রাখেন।এ ব্যাপারে ১১ অক্টোবর নিহতের বড়ভাই কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. আবুল কাশেম (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোজ্জামেল হক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি মোসা. হাফেজা বেগম তাসমিহা ও আসামি শাহীন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল অভিযোগপত্র এবং ২০২১ সালের ২৩ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্র পক্ষের ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদ্বয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আজ আসামি তাসমিহাকে মৃত্যুদণ্ড এবং শাহীন ভূঁইয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।এছাড়াও মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আসামি মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ফারুক আহমেদ।