যুবককে মেরে বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখার অভিযোগ
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মো. রাজু নামে এক যুবককে রাতের আধারে ধরে বেদম মারধর দিয়ে বস্তা বন্দি করে ফেলে রেখার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।১৯ মে সোমবার সকালে রাজুর পিতা জসিম মিয়া এ অভিযোগ করেছেন। উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ডের বড়ইবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।রাজুর পিতা মো. জসিম উদ্দীনের অভিযোগ, রাজুর আপন মামা-মামি-ছেলে এবং তাদের সহযোগী কয়েকজন মিলে তার ছেলেকে ধরে বেদম মারধর করে। তাদের মারধরে অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা রাজুর হাত পা বেধে একটি বস্তার মধ্য ভরে স্থানীয় আশ্রাফিয়া জামে মসজিদের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ভোর রাতে খবর পেয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। বিষয়টি নিয়ে নেছারাবাদ থানা পুলিশকে জানালে তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। প্রতিপক্ষরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে এখন আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।রাজু অভিযোগ করে বলেন, সে প্রতিদিনের ন্যায় রাতে বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে সাঈদ, তানভীর, আসাদ, মিরাজ এবং মেহেদী তাকে ধরে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা রাজুর গলায় রশি লাগিয়ে টেনে হিচড়ে অনেক দূর নিয়ে যায়। এ সময় আমি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালে। তারা আমাকে মেরে এখন অপরাধ ঢাকতে উল্টো আমার পিতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।প্রতিবেশী সবিতা মজুমদার বলেন, জসিম উদ্দীন খুবই ভাল মানুষ। তার ছেলে রাজুকে প্রতিপক্ষরা মারধর করে বস্তায় ভরে ফেলে রেখে গেছে। এখন উল্টো তারাই রাজুর পিতা জসিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সে বিএনপি করে। তাকে ঘায়েল করার জন্য আওয়ামী লীগ বলছে।এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে