ইবি প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ঘোষক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শহীদ জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডাইনিং রুমে হল প্রভোস্ট কর্তৃক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


এসময় শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট আব্দুল গফুর গাজীর সভাপতিত্বে ও হাউস টিউটর অধ্যাপক ড. আ হ ম নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন ও কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন।
এছাড়া থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দার আলী, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান আনোয়ারী, অধ্যাপক ড. আলিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জাকির হুসাইন, ইবি সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. একে এম মতিনুর রহমান, গ্রিন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, আল হাদিস বিভাগের অধ্যাপক ড. আখম আ খ ম ওয়ালিউল্লাহসহ ছাত্র প্রতিনিধি ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ড.এমতাজ হোসেন বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবারের এক সঙ্গে তিনটি অর্জন জড়িয়ে আছে যা বাংলাদেশের আর কোনো পরিবারের সাথে নেই। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি পরিবারকে না জানিয়ে যুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন। তখন অরক্ষিত বেগম জিয়া তার শিশু সন্তান তারেক জিয়াকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কার্গো জাহাজে ঢাকা এসে আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নেন। তখন পাকিস্তান সামরিক বাহিনী তাদের গ্রেফতার করে এবং দীর্ঘ ৯ মাস বন্দী করে। এজন্য নারীদের মধ্যে ১নং মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া ছিলেন ১নং শিশু মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে এই তিনটি অর্জন জিয়া পরিবারের থাকবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ইতিহাসে অমর নন, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা ও ইসলামী জ্ঞানচর্চার পরিসরকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, মুক্তচিন্তা ও শিক্ষাবান্ধব নীতির প্রতিফলন। আমরা আজ তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক, গবেষণাধর্মী ও আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, চরিত্র গঠন ও একাডেমিক উৎকর্ষই হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চালিকা শক্তি। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার আদর্শ ধারণ করে দেশগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available