• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ দুপুর ০১:০৯:৩৪ (02-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

কালাইয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

২ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুর ১২:২৮:১৫

সংবাদ ছবি

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাইয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছেন।

Ad

অভিযোগ পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে শাস্তিমূলক অন্যত্র বদলি করেছেন। এ ঘটনা উপজেলার পুনট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে।

Ad
Ad

অভিযুক্ত মো. মশিউর রহমান ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি পুনট মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে রয়েছেন।  

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষক মশিউর রহমান ওই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে গিয়ে যৌন হয়রানি করে। এর কিছুক্ষণ পর ওই শিক্ষার্থী ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে খবর দেন। তখন শিক্ষার্থীর মা বিদ্যালয়ে এসে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ওই ছাত্রী তার মা এর নিকট ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়। পরে ওই ছাত্রীর বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা মিলে বিদ্যালয়ে আসলে ততক্ষণে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। রোববার সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন। পরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেওয়া ভাষ্যমতে দুপুরের দিকে ওই শিক্ষককে শাস্তিমূলক একই উপজেলার হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেন। এরপর থেকে ওই ঘটনায় অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, সহপাঠীকে ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে মশিউর স্যার যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা চরম অন্যায়। আমরা শিক্ষার্থীরা সবাই স্যারের কঠিন বিচারের দাবি করছি। আর যেন কোনো সহপাঠীর উপর এমন অত্যাচার না ঘটে। সঠিক বিচার না হলে আমরাও বিদ্যালয় ছেড়ে বাবা-মাকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামবো।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ঘটনার পাঁচ দিন হয়ে গেল, আজও শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শুধু বদলি করলেই হবে না, তাকে চাকুরিচ্যুত করতে হবে। তা না হলে মামলা করবো।  

পনুট গ্রামের অভিভাবক তাইজুল ইসলাম বলেন, আমার দুই মেয়ে এই স্কুলে পড়াশুনা করে। এই ঘটনার পর আমি খুবই চিন্তায় পড়েছি। প্রতিদিন তো আর মেয়েদের সাথে আসতে পারবো না। তাই ভাবছি, অন্য স্কুলে নিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, শুনেছি এর আগেও ওই শিক্ষক দুইজন মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। সেখানে জরিমানা দিয়ে পার পেয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, আমাকে নিয়ে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সবই মিথ্যা। আসলে আমি দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয়ে আছি, সে কারণে অনেকে আমার বিরোধিতা করছে। আবার আমাকে অন্যায়ভাবে বদলিও করা হয়েছে।    

ঘটনার সত্যতা ও শিক্ষক মশিউর রহমানকে বদলির বিষয় নিশ্চিত করে প্রধান শিক্ষক শিরিনা খাতুন বলেন, ঘটনার পরপরই আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করেছি। পরে ওই ছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাশেদুল আলম বলেন, এ ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগতও করা হয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ শান্ত করতে তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষককে অন্য একটি বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ












Follow Us