• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৮:১৮:২৯ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৮:১৮:২৯ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবির দুই শিক্ষককে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: যৌন হয়রানি ও থিসিস জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিন শিক্ষকের মধ্যে যৌন হয়রানিতে জড়িত ছিলেন দুই শিক্ষক। যৌন হয়রানিতে জড়িত দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।৭ মে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে, ৬ মে সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়।সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। একইসঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগেরও সত্যাত মিলেছে।অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এটিকে যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ২ মাসের মধ্যে ফলাফল দিতে বলা হয়েছে। যৌন নিপীড়ন সেলের কার্যক্রম চলাকালীন অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে সকল প্রকার অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।এছাড়া এমফিলের থিসিস নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।পরে ১০ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বিভাগের আরেকজন শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন।পরে গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ফলাফল ধস নামানোর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে।এদিকে, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। অধ্যাপক নাদির জুনাইদের মতো অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধেও একই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।এর আগে, অধ্যাপক ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করার এক পর্যায়ে ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। পরে এ অভিযোগ সিন্ডিকেটে আসে।ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে সিন্ডিকেট। আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিতে আরও ছিলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।