• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ভোর ০৫:১৭:০৩ (14-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

মতলব উত্তরে পুরুষশূন্য বাড়িতে হামলা, আহত ২

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তরের গজরা ইউনিয়নের ডুবগী গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরুষশূন্য বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূ ও তার শাশুড়িকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।১৩ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত শাশুড়ি রওশন আরা (৬০) গুরুতর অবস্থায় বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ভুক্তভোগী গৃহবধূ খুকুমনি (৩০) জানান, তার স্বামী সবুজ প্রধান দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন। দুই কন্যাসন্তান মাদ্রাসায় পড়াশোনা করায় তিনি শাশুড়িকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের পাশের বাড়ির এলকাফ বকাউল, হারুন ভূইয়া, সুমি বেগম ও জান্নাত আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা প্রায়ই গালমন্দ ও হুমকি দিয়ে আসছিল।খুকুমনি বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল হোসেনকে জানাই। তিনি অভিযুক্তদের ফোন করে গাছ কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু তারা কারও কথা শোনেনি।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটে অভিযুক্তরা লোকজন নিয়ে ভুক্তভোগীদের জায়গার ১০–১২টি গাছ কাটতে শুরু করে। এতে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে খুকুমনি ও তার শাশুড়িকে মারধর করে।খুকুমনির অভিযোগ অনুযায়ী, একপর্যায়ে এলকাফ বকাউল তাকে মাটিতে ফেলে বুকের ওপর বসে গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। শাশুড়ি রওশন আরা বাধা দিতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। মারধরের সময় রওশন আরার ডান হাতের কবজি ভেঙে যায় এবং তার গলা চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়। এছাড়া চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির অভিযোগও করা হয়েছে।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। শাশুড়ির অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত এলকাফ বকাউলের স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, আমরা আমাদের বাড়ির সীমানার গাছ কাটছিলাম। তারা আমাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এখন উল্টো আমাদের দোষ দিচ্ছে।এ বিষয়ে গজরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, খুকুমনি ফোন করে বিষয়টি জানালে আমি এলকাফকে গাছ কাটতে নিষেধ করি। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি। বরং বলেন আমি গাছ কাটব, দেখি কে কী করে।এ প্রসঙ্গে মতলব উত্তর থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘটিত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। চিকিৎসার কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।