মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় এক নিরীহ পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ফারুক শেখের নেতৃত্বে অন্তত ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ওই পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।বাগেরহাটের সদর উপজেলার যাত্রাপুরের মোসিদপুর এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, দিন মোহাম্মদ শেখের ছেলে হাফিজ শেখ, দিন মোহাম্মদ শেখের আর এক ছেলে ফারুক শেখ ও ফারুক শেখের মেয়ে ইভা, ছেলে নাইম শেখ এবং মৃত হারুন শেখের ছেলে নাহিয়ান শেখসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন মিলে ২৬ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে হোসাইন কবির ছোট’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। পরে তারা তার বসতবাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং স্বর্ণালঙ্কার, ১ লাখ নগদ টাকাসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।হামলার সময় পরিবারের নারী ও শিশুরা আতঙ্কে চিৎকার করলেও কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। প্রাণভয়ে তারা পরে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যান তারা।ভুক্তভোগী মো. হোসাইন কবির ছোট বলেন, আমার বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে যাওয়ার পর ফারুক শেখ যাত্রাপুর বাজারে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। আমরা শুধু মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু এখন নিজেরাই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে আমরা সঠিক বিচার ও নিরাপত্তা দাবি করছি।ভুক্তভোগী ফাতেমা খানম হীরা বলেন, আমরা মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ার কারণেই আমাদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমার বাড়ি থেকে প্রায় দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে তারা।যাত্রাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ হাওলাদার বলেন, মো. হোসাইন কবির ছোটো মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে তার বাড়ি ঘরে লুটপাট ও হামলা চালিয়েছে হাফিজের লোকজন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হাফিজ ও হাফিজের ছেলেসহ তার পরিবার মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত। আমরা এলাকাবাসী চাই আমাদের এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে। কিন্তু কেউ বাধা দিলেই তার ওপরে চড়াও হয় এই পরিবারের লোকজন ও সাথে আরও কিছু মাদক সেবনকারী।এ বিষয়ে হাফিজ এর মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ উল হাসান বলেন, লুটপাটের কোনো ঘটনা ঘটেনি আর আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয় নাই।