কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের কচুয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ঘটনা। কয়েক দিন পর পর কোথাও না কোথাও পানিতে ডুবে শিশুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। বসতবাড়ির আশপাশে থাকা পুকুর, ডোবা, নালাতে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে শিশুরা। অভিভাবকদের অসচেতনতা ও শিশুদের সাঁতার না জানার কারণেই এমন মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব অনুযায়ী, গত ৬ মাসে পানিতে ডুবে ২০টির বেশি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
চিকিৎসকরা বলেন, পানিতে পড়া বেশিরভাগ শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যায়। পাঁচ মিনিটের মতো পানিতে ডুবে থাকলেই শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত অবস্থায়ই বেশির ভাগ শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়।
সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনার রেকর্ড থেকে জানা যায়, কচুয়া উপজেলায় বালুর গর্তে পড়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো রায়হান (৬) ও রিহান আহমেদ (৩)। তাঁরা মামাতো-ফুফাতো ভাই। রায়হান শাসনখলা গ্রামের মোশারফের ছেলে ও রিহান একই গ্রামের শাহিনের ছেলে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম বলেন, অসচেতনতার কারণে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ বছরের নিচে সকল শিশু মায়ের কাছে থাকে, মায়েদের অসচেতনতায় প্রাণ হারায় শিশুরা।
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হার বৃদ্ধি বিষয়ে কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম বলেন, বাবা-মায়েদের অসচেতনতায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে। অনেক মা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ায় সন্তানরা কোথায় আছে, কী করছে নজর রাখেন না।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা জানান, আমাদের হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২ তারিখ পর্যন্ত পানিতে ডুবে ২০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ শিশুর বয়স ৫ বছরের নিচে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available