ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: বিয়ে করে বর কনেকে নিয়ে যায় বাড়িতে। পরদিন বেঁকে বসে নববধূ। অবশেষে বরের অগোচরে প্রেমিককে ডেকে আনার অপরাধে তালাকপ্রাপ্ত হন মাদরাসাছাত্রী। আটকে রাখা হয় কথিত প্রেমিককে।
পরে বিয়ে করবে না বলে আটক প্রেমিক লাপাত্তা হয়ে যায়। এ অবস্থায় গত ২৯ আগস্ট শুক্রবার থানায় অভিযোগ করেন তালাকপ্রাপ্ত নববধূ। এখন বিয়ের দাবি নিয়ে ওই প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরসংকর গ্রামে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের চরসংকর গ্রামের কুদ্দুম মিয়ার ছেলে মো. মিজান মিয়ার (২৩) বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে অবস্থান নিয়েছেন দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রী।
ওই ছাত্রী জানান, গত প্রায় ৩ বছর ধরে এই বাড়ির ছেলে মিজানের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলছিল। বিয়ের প্রলোভনে অনেক স্থানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য বললে সে এখনি বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
পরে ভালো পাত্র পাওয়ায় পাশের বড়হিত ইউনিয়নের একটি গ্রামের গার্মেন্টকর্মীর কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। গত ২২ আগস্ট শুক্রবার পারিবারিকভাবে বিয়ের পর কনেকে নিয়ে যাওয়া হয় বরের বাড়িতে। আর ওই সময় প্রেমিক মোবাইলে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা বলে। এরপর বর নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগে গত বৃহস্পতিবার প্রেমিককে শ্বশুরবাড়ি ডেকে নেয়। আর বিষয়টি ধরা পড়লে প্রেমিককে আটক করে নববধূকে তালাক দেয় বর।
পরে প্রেমিকের সাথে তালাকপ্রাপ্ত কনের বিয়ের কথা উঠলেই স্থানীয় এক মেম্বারের প্ররোচনায় লাপাত্তা হয়ে যায় প্রেমিক।
জানা যায়, অনেক খোঁজ করেও প্রেমিককে না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন তালাকপ্রাপ্ত কনে। গতকাল ৩০ আগস্ট শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি।
এ বিষয়ে মাদরাসাছাত্রী বলেন, ‘আমার সাজানো বাসরঘর ছিল। সেখান থেকেই প্রেমিকের কথায় তালাকপ্রাপ্ত হয়েছি। এখন আমি সব হারিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি বিয়ের জন্য। বিয়ে না করলে জীবন শেষ করে দেব।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উবায়দুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বার বাবুল প্রেমিককে জিম্মায় নিয়েছিল বিয়ে করানোর জন্য। অজ্ঞাত কারণে তার কাছ থেকেই লাপাত্তা হয়। এখন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই মেম্বারকে বিয়ে করানোর জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available