আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের কাজী বাড়ি জামে মসজিদের ঈমামের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জেরে মাওলানা মো. মাহবুব কাজীকে বহিষ্কার করেছে মসজিদ কমিটি।

ইমাম মাওলানা মো. মাহবুব কাজী রাগে-ক্ষোভে মসজিদের মাইকের মেশিন খুলে নিয়ে গেছেন। বন্ধ রয়েছে মাইকে আযান দেয়া। এঘটনায় ঈমামের বিচার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।


জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে অবস্থিত কাজি বাড়ি জামে মসজিদে সম্প্রতি ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির গুলিশাখালী ইউনিয়নের সদর মাওলানা মো. মাহাবুব কাজী মসজিদের মাইকের-মেশিন অপসারণের ঘটনাকে মুসল্লিরা সরাসরি ধর্মীয় কাজে ব্যাঘাত এবং মসজিদের প্রতি চরম অবমাননা হিসেবে দেখছেন। এঘটনায় পুরো এলাকায় গভীর ক্ষোভ, হতাশা এবং অসন্তোষ সৃষ্টি গয়েছে।
মুসল্লী শাহাজাহান কাজী বলেন, ঈমাম মাওলানা মাহবুব কাজীর কিছু অনৈতিক কাজের জন্য আমরা মুসল্লীরা তাকে মসজিদ থেকে বিদায় দিয়ে দিয়েছি। তিনি মসজিদের মাইকের মেশিন মসজিদে থাকা কম্বল ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
মুসল্লী আল আমিন কাজী ও মো. সোহাগ কাজীসহ একাধিক মুসল্লী অভিযোগ করে বলেন, ঈমাম মাওলানা মো. মাহাবুব কাজীর অনৈতিক কাজের জন্য আমরা গ্রামের লোকজন লজ্জিত হয়ে তাকে আমরা মসজিদ থেকে বিদায় দিয়ে দিয়েছি। তাকে বিদায় দেওয়ার পর তিনি মসজিদে এসে বর্তমান ইমামকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মসজিদের মাইকের মেশিন ও মসজিদের জন্য ব্যবহার করার জন্য রাখা কিছু মালামাল জোর করে নিয়ে গেছে। এখন মসজিদের মাইকে আযান দেয়া বন্দ রয়েছে। এ ঘটনায় মুসুল্লীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মুসল্লীরা এই ঈমাম মাওলানা মো. মাহাবুব কাজীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয় সাবেক ইমাম মাওলানা মো. মাহাবুব কাজী বলেন, আমার টাকা দিয়া মাইক-মেশিন কিনেছি। অনৈতিক কাজের বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাকে চক্রান্ত করে মসজিদ থেকে সরানো জন্য কিছু মানুষ অ-প্রচার চালাচ্ছেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available