নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ভবন-রাস্তাঘাট। আগুন লেগে বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৮) ও তার ছেলে ওমর (৯), পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাজম আলী (৭৫), পলাশের ডাঙ্গা কাজিরচর এলাকায় সিরাজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গআজকিতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামের ফোরকান (৪০)।


এদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন পরিবার নিয়ে নরসিংদী শহরের গাবলতি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভূমিকম্পের সময় ভাড়া বাসা থেকে ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে দ্রুত বের হওয়ার সময় বাসার সানশেড তাদের শরীরের ওপর ভেঙে পড়ে। পরে ঢামেকে নেওয়া হলে বাবা-ছেলে মারা যান।
২১ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে সারাদেশের ন্যায় নরসিংদীতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসময় মানুষ আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ঘোড়াশাল এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূমিকম্পে ঘোড়াশালে ছয়টি বাড়ি ও এস এ প্লাজা নামের সাততলা শপিংমলে ফাটল ধরেছে। বাজার এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের আঙিনায় মাটি দেবে গেছে।
ভূমিকম্পে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস সহিদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. গুলশানা কবির বলেন, ভূমিকম্পে আহত হয়ে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিয়েছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available