• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৪৩:৪১ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৪৩:৪১ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

গাইবান্ধায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ

১০ জুলাই ২০২৩ সকাল ০৯:৫০:১৭

গাইবান্ধায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর থানায় আত্মসমর্পণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় শেফালী খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন ঘাতক স্বামী মহসীন আলী।

৮ জুলাই শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার মহসীনের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মরদেহের হাতে থাকা একটি চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত স্বামী মহসীন আলী (২৭) উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।

পুলিশের ধারণা, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শেফালী খাতুনকে হত্যা করেছে মহসীন আলী। পরে শয়ন কক্ষের আড়ার সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৪ বছর আগে মহসীন আলীর সঙ্গে গাইবান্ধার মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালী খাতুনের বিয়ে হয়। মহসীন আলী কোনো কাজকর্ম করতেন না। পারিবারিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকতো। পাশাপাশি শেফালীর কোনো সন্তান না হওয়ায় মহসীন ক্ষুব্ধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে মহসীন আলী স্ত্রীর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে শেফালীকে খুন করে। পরে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন মহসীন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিল। এতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারো কোনো দোষ নেই‘। এরপর সে প্রতিবেশীদের জানিয়ে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাদুল্লাপুর থানায় আসেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি খুনের ঘটনা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘাতক স্বামী অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল। তিনি স্ত্রীকে চারিত্রিকভাবে সন্দেহ করতেন। এছাড়াও স্ত্রী ‘কুফরী কালাম‘ করতো, যা তার পছন্দ ছিল না। এসব কারণে মহসীন স্ত্রীকে হত্যা করে। তবে পুরো ব্যাপারটি আরও ব্যাপকভাবে তদন্ত করা হবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুর রহমান বলেন, ওই চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের ওপর থেকে সন্দেহ সরাতে তিনি ওই কাজটি করেন। পুলিশ ব্যাপারটি আরও খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ