১৭ মে প্রধানমন্ত্রী না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: কিশোর

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডক্টর আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেছেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। শেখ হাসিনা যদি সেদিন সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে না ফিরতেন, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না।১৬ মে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও গণতন্ত্রের মানসকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১৭ মে উপলক্ষ্যে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।ডক্টর কিশোর বলেন, ১৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিলো, এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়বো। বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু কন্যাও অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য হারান না।২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিলো তা নয়, তাকে গ্রেপ্তারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য হারাননি।বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন- তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও প্রচণ্ড সংকটে ধৈর্য হারাননি।