নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় প্রশাসন কর্তৃক ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখা দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকার সভাপতিত্বে সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বপন কুমার পোদ্দার সঞ্চালনা করেন। এতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কাজী সাদেকুর রহমান, কার্যকারী পরিষদের সদস্য রায়হান শামীম, কাজী রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- কয়েক দিন আগে ঔষধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। তাই দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিক আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানিমূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করার হুমকি দেন বক্তারা।মানববন্ধনে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে থাকেন। বর্তমানে দেশে ঔষধ কোম্পানীর সংখ্যা অনেক হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেই কোম্পানিগুলো নতুন নতুন আইটেমের ঔষধ তৈরি করে বাজারজাত করছে। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ অনেক সময় কোম্পানির প্রোডাক্টস বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে ঔষধ সামগ্রীর গুণগত মান অনুমোদন/অনুমোদনহীন অনেক ক্ষেত্রে বুঝে উঠতে পারেন না।এদিকে এর প্রতিবাদে ৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় সকল ঔষধের দোকান।এ প্রসঙ্গে নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন কোন আইনে করেছেন কোন অপরাধের জন্য করেছেন এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে অফিসিয়াল ভাবে শেয়ার করেন নাই। আমরা জানতে পেরেছি যে অনুমোদনবিহীন মেডিসিন রাখায় ঔষধ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এর বেশি কিছু জানি না।’জেলায় ঔষধের দোকানপাট বন্ধ। রোগীরা জরুরি ঔষধ কিনতে পারছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষমতা নেই ঔষধের দোকান খুলতে বলার। আমরা শুধু এটুকু বুঝিয়ে বলতে পারি রোগীদের ঔষধ পেতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, মানবিক দিক থেকে বিষয়টি দেখবেন।