• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৫শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ০৮:২৫:৩৪ (09-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:

ইসলামী ব্যাংক থেকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে দুদকের মামলা

৯ নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৪:২৭:১৭

সংবাদ ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এটি দুদকের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ দুর্নীতির মামলা বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

Ad

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, এস আলম গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠান, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম স্টিলস লিমিটেড ও এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হয় ৯ হাজার ২৮৩.৯৩ কোটি টাকা, যা বর্তমানে লভ্যাংশসহ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৭৯.৬২ কোটি টাকায়।

Ad
Ad

অভিযোগ অনুযায়ী, ঋণের নামে নেয়া এই অর্থ জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয় এবং পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়। এসব অনিয়মে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য, বিনিয়োগ কমিটির সদস্যসহ মোট ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের তদন্তে দেখা যায়, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে ব্যাংকের বিনিয়োগ কার্যক্রমে বেপরোয়া অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘন শুরু হয়। ২০২০ সালে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণসীমা ২ হাজার ৪০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা করে, যা ব্যাংকের মূলধনের ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এতে ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্ট, ১৯৯১ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার স্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়।

তদন্তে আরও জানা যায়, ইসলামী ব্যাংকের আইটি সফটওয়্যার ম্যানিপুলেশন করে অনুমোদনহীনভাবে ঋণ সীমা বৃদ্ধি ও মেয়াদ পরিবর্তন করা হয়। সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহের আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এসব লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

এসব অর্থ বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান যেমন আহসান এন্টারপ্রাইজ, দুলারী এন্টারপ্রাইজ, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স ইত্যাদির মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, এস এস পাওয়ার, এস আলম স্টিলস, এস আলম সিমেন্ট ও সোনালী ট্রেডার্সের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।

দুদকের নথিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ২৯০ কোটি টাকার সমপরিমাণ (২৩.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সিঙ্গাপুরের ব্যাংক অব চায়না শাখায় এস এস পাওয়ার-১ লিমিটেডের অফশোর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।

এই ঘটনায় দায়ী ৬৭ জনের মধ্যে রয়েছেন, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার ভাই রাশেদুল আলম, সহিদুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম, মেয়ে মায়মুনা খানম, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব উল আলম, মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান, সাবেক পরিচালকবৃন্দ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিনিয়োগ কমিটির সদস্যসহ আরও অনেকে।

দুদক বলছে, এ মামলায় তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে আরও নতুন নাম যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের অর্থনৈতিক অনিয়মের এই ঘটনা এখন দেশের সবচেয়ে আলোচিত দুর্নীতির কেলেঙ্কারি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ




সংবাদ ছবি
৩য় বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড পেলো ২৬ উদ্যোগ
৯ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০৬:০৯



সংবাদ ছবি
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো’র বিক্রি শুরু
৯ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:২৪:০৫

সংবাদ ছবি
ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৫
৯ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:১৩:০২




Follow Us