মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: ওসব সরকারি নিয়ম এখানে চলে না! যা ভাড়া চেয়েছি তাই দিলে যাবো এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক এখলাস, দুদকের ছদ্মবেশী সদস্যদের কাছে।

৯ নভেম্বর রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তিন সদস্যের একটি টিম সকাল থেকে অভিযান চালায়। টিমটি রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া চাইলে চালক সরকারি নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন।


এছাড়া তদন্তে উঠে আসে, রোগীদের খাবারে বরাদ্দের তুলনায় অর্ধেক পাউরুটি, মাছ ও নিম্নমানের চাল-ডাল সরবরাহ করা হচ্ছে, পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে, রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যোগসাজশে বাইরের ল্যাবে পাঠানো হয়। জরুরি বিভাগে ডিগ্রিধারী চিকিৎসক না থেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মাসুদুর রহমান চিকিৎসা দিচ্ছেন, আউটসোর্সিং কর্মী হাবিবুল্লাহ বিল্লাহীর মাধ্যমে রোগীদের কাটা-সেলাইয়ের কাজ করানো হচ্ছে। অভিযানে দুদক টিমের উপস্থিতিতে নয়ন হোসেন নামের এক দালালকে আটক করা হয়, যিনি নিজেকে নিকটবর্তী একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার বলে দাবি করেন।
অভিযান শেষে দুদকের ডিএডি চিরঞ্জীব নিয়োগী সাংবাদিকদের জানান, খাবারের মান ও পরিমাণে বড় ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে। রোগীদের বরাদ্দের তুলনায় মাছ, পাউরুটি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য অর্ধেকেরও কম দেওয়া হয়েছে। খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার ইসমাইল হোসেন বলেন, ১২ বছর আগের দর অনুযায়ী খাবার সরবরাহ চলছে। নতুন দর না পাওয়ায় মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফয়েজ আহমদ ফয়সল বলেন, বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available