নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

৩ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালে যান।


এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিম ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে। দুপুরে দলটি হাসপাতালে এসে সরাসরি চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নেয়। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. রিচার্ড বিল।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসক দলটি প্রথমেই সিসিইউতে গিয়ে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। পরে তারা স্থানীয় মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে চিকিৎসা পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করে।
সূত্র জানায়, টিমটি প্রথমে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) পরিদর্শন করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার গভীর পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তারা স্থানীয় চিকিৎসক দলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি রোগ ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকির মাত্রা, অর্গান সাপোর্ট এবং পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বর্তমানে খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটজনক থাকলেও তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার অগ্রগতির মূল্যায়ন করবেন। প্রথম দিনের কাজ হিসেবে তারা রোগীর জটিলতার ক্লিনিক্যাল নোট, সর্বশেষ টেস্ট রিপোর্ট এবং ব্যবহৃত সাপোর্ট সিস্টেমের তথ্য পর্যালোচনা করেছেন।
দলটির মূল লক্ষ্য উন্নত ও সমন্বিত চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা এবং খালেদা জিয়ার সুস্থতায় সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা।
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেদিন তার অনেক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়।
এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। যদিও চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি।
৮ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর গত ৮ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি। চার মাস পর ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available