আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুর্নীতিবিরোধী জেন জি বিক্ষোভের পর শুক্রবার ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহালে নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলের কাছে দাবি জানিয়েছে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। বিলুপ্ত পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধিত্বকারী আটটি রাজনৈতিক দল বলেছে, এই বিলুপ্তি অসাংবিধানিক এবং সংসদীয় ঐতিহ্যের লঙ্ঘন। শনিবার এ নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে দলগুলো।
শুক্রবার নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশে পৌডেল প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেন। এটি জেন জি’র প্রতিবাদ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবিও ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে এই সপ্তাহে ব্যাপক বিক্ষোভের সময় দাঙ্গা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। বিক্ষোভ নেতাদের সাথে একটি চুক্তি হওয়ার পর কার্কিকে নিয়োগ দেয়া হয়।
আটটি দলের বিবৃতিতে সংবিধানের ৭৬(৭) অনুচ্ছেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের অতীতের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠিত সাংবিধানিক অনুশীলন লঙ্ঘন করেছে। এই পদক্ষেপ কেবল জনগণের ম্যান্ডেটকেই ক্ষুণ্ন করে না বরং সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্বকেও আঘাত করে।
দলগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, নেপালের কষ্টার্জিত গণতন্ত্র, যা বছরের পর বছর সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০১৫ সালের গণপরিষদ দ্বারা প্রণীত প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের মাধ্যমে সংশোধিতঅ তাই প্রেসিডেন্টের এই ধরনের পদক্ষেপকে সহ্য করা হবে না, জনগণ ক্ষমা করবে না। সংসদ পুনর্বহালের দাবিতে যৌথ বিবৃতিতে সই করেছেন নেপালের আটটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হুইপরা।
বিবৃতিতে নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল এবং মাওবাদী সেন্ট্রিস্টসহ আট দল বলেছে, প্রেসিডেন্ট অসাংবিধানিক কাজ করেছেন। দলগুলোর মত, তরুণদের বিক্ষোভের পর আগামী বছরের ৫ মার্চ নির্বাচনের যে সময় দেয়া হয়েছে, সেটি গণভোটের মাধ্যমে দেয়া উচিত ছিলো।
আটটি দল বলছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এই যৌথ বিবৃতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পৌডেল এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available