• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৩ই ভাদ্র ১৪৩২ সকাল ১০:৪০:২৫ (28-Aug-2025)
  • - ৩৩° সে:

অপরাধ

মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড

২৮ আগস্ট ২০২৫ সকাল ০৮:৪৮:৫১

সংবাদ ছবি

বরগুনা প্রতিনিধি: ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যা করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইলাখ টাকা অর্থদণ্ড ও সহযোগী আসামিকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।

২৭ আগস্ট বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পূঁজাখোলা ইসলামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে মো. হৃদয় খান (২০) এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম (১৯)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।

জানা যায়, মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আমতলী থানায় ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার ১২ বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে (তানজিলা) ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশের বাড়ির ক্ষেতে শাক তুলে ঘরে রেখে আবার বাইরে যায়। দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় তার বাবা ও মা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। পরের দিন বাদী আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

বাদীর ছেলে ইমরান তার বাবাকে জানায় তার ফোনে অজ্ঞাতনামা একজন মেসেজ দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ছেড়ে দেবে। বাদী বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ প্রধান আসামি হৃদয় খানকে ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন ৫ ফেব্রুয়ারি বাদীর মেয়েকে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে আমতলীর জনৈক নূর মোহাম্মাদ খানের বাড়ির সামনে হোগলা পাতার মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা বলে দিতে পারে এমন আশংকায় বাদীর মেয়ের হিজাব দিয়ে হৃদয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। আসামি হৃদয় আমতলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের নিকট ৮ ফেব্রুয়ারি স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেয়। হৃদয় খানের দেখানো মতে, পুলিশ ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।

বাদী বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে আসামী হৃদয় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ গোপন করার জন্য হোগলা পাতার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, বাদী অভিযোগ করেছে তার মেয়েকে অপহরণের পরে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত নেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, ১২ বছরের একটি ছোট মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা করা একটি ঘৃণ্য অপরাধ। এই মেসেজটি সবার কাছে পৌঁছলে অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ