• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২৪শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ রাত ০৮:৫৯:১১ (08-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও সমাধান পায়নি এলাকাবাসী

৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৪:০৩

সংবাদ ছবি

নওগাঁ প্রতিনিধি: একপাশে চলছে শ্রমিক দিয়ে ইট তৈরির কাজ, আরেক পাশে জ্বলছে আগুন। আর মাঝখানে বসবাস কয়েকটি পরিবারের।

Ad

এভাবেই পরিবেশের অনাপত্তি সনদ বিহীন এমবিকে নামক ইটভাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর অসহায়ের মতো দেখছে সাধারণ মানুষ। অপরদিকে নীরব ভূমিকায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।

Ad
Ad

নওগাঁ সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকায় দিঘা গ্রামে গড়ে তোলা অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবিতে এলাকার প্রায় শতাধিক ব্যক্তি মিলে অভিযোগ দেন বিভিন্ন দপ্তরে।

এদিকে গত ৪-৫ দিন আগে ইটভাটাটিতে দেওয়া হয়েছে আগুন। তবুও নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন তুলেছেন নওগাঁ পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তারা মাঝে মাঝে লোক দেখানো কিছু ইটভাটায় অভিযান চালায়। পরে সেগুলো আবার চালু হয়ে যায় কোনো অদৃশ্য কারণে। আবার বেশির ভাগ ইটভাটার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কখনও কোনো ব্যবস্থা। এই জন্য তাদের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানান প্রশ্ন।

স্থানীয় এক স্কুল ছাত্র জানালেন, মনে হয় এই ইটভাটা আর এখানে থাকবে না। কারণ অনেক সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। এছাড়া মাঝে মাঝে আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়।

এলাকার স্থানীয়রা জানালেন, এই ইটভাটার আগে বাড়ি তৈরি করে আমাদের বসবাস। তখন এলাকার কৃষকেরা বেশি টাকার আশায় ইটভাটা মালিকের কাছে জমিগুলো ইজারা দিয়েছেন। এই কারণে এলাকার প্রায় অনেক ফসলি জমি সে লিজ নিয়ে ভাটার কাজ করছে। এছাড়া অনেক লোকজন এখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তবে মাঝে মাঝে খুব সমস্যা হয়, যখন বড় বড় গাড়ি চলাচল করে, তখন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। তবে শুনছি আগামী বছর এখানে আর থাকবে না ভাটাটি।

অভিযোগকারীর একাধিক ব্যক্তি বলেন, গ্রামের মধ্যে ইটভাটা কীভাবে সম্ভব? প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালু না করার জন্য বলা হয়েছিল। এছাড়া এলাকাবাসী পক্ষ থেকে বন্ধ রাখার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ১৩৭ জন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারপরও কোনো পদক্ষেপ নেই। উল্টো খড়ি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ইট ভাটা চালু করেছে। এসব নাটকের কোনো মানে হয় না বলে মন্তব্য করলেন তারা।

তারা আরও বলেন, এই ইটভাটার কারণে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। ছাই উড়ে এসে বাড়ি ঘরের পরিবেশ নষ্ট করছে। এছাড়া ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি।

জানতে চাইলে এমবিকে ইটভাটার স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান মুঠোফোনে বলেন, আমরা যখন আন্দোলন করলাম, তখন ডিসি অফিস থেকে এই বছরের জন্য মৌখিক অনুমোদন দিয়েছেন। আর অন্যরা যেভাবে চালাচ্ছে আমিও সেভাবে শুরু করেছি। গ্রামের মধ্যে এভাবে চালাতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে কিছু বাড়ি ছিল, এখন অনেক হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে জানতে চাইলে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদিয়া আফরিন মুঠোফোনে বলেন, আমাদের অনুমতির দেওয়ার এখতিয়ার নেই। জেলার ইটভাটা মালিকরা যে স্মারকলিপি দিয়েছিল, আমরা শুধু পাঠিয়ে দিয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে তিনি বলেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেওয়া হবে।

সকল বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. তাছমিনা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, অবৈধ ইটভাটা চালানোর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কঠোর নির্দেশনা কেউ অবৈধভাবে চালাতে পারবে না। ইতোমধ্যে মোবাইল কোর্ট শুরু হয়েছে। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব। আর আমি নিজে যাব নওগাঁতে।

আর নওগাঁ পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে দেওয়া সরকারি মোবাইল নং-এ বারবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন। তাই তাঁর ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ




সংবাদ ছবি
বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন নামঞ্জুর
৮ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত ০৮:২২:২৩








Follow Us