• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৯ই কার্তিক ১৪৩২ সকাল ০৮:৫৪:৪১ (24-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:

যোগ্যতা ছাড়া নিয়োগ, নম্বর টেম্পারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে

২৭ আগস্ট ২০২৫ বিকাল ০৫:১৫:০৭

সংবাদ ছবি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ ২০১৬ সালে বিভাগটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। তবে আবেদনের যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ ছাড়াও নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে এক ছাত্রীকে প্রথম বানিয়ে নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ মে ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩.৫০ (৪ এর মধ্যে) চাওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক ফলাফলের যেকোনো একটির আংশিক শিথিল করা যেতে পারে বলে একটি বিশেষ ধারা যুক্ত করা হয়।  

Ad
Ad

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেহেদী উল্লাহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে যথাক্রমে ৩.৩১ ও ৩.৬৮ সিজিপিএ নিয়ে প্রভাষক পদের বিপরীতে আবেদন করেন এবং বিশেষ যোগ্যতা (পিএইচডি, এমফিল,জাতীয় পুরস্কার, আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা ) না থাকা সত্ত্বেও তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে তিনি তার লেখা একটি বইকে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে দেখান যেটি জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নয় বরং একটি প্রাইভেট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত।

Ad

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, আরও অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও তাদেরকে বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে আবেদনের যোগ্যতা না থাকা মেহেদী উল্লাহকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

মেহেদী উল্লাহর বিরুদ্ধে  নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে নিজের পছন্দের এক ছাত্রীকে শিক্ষক বানাতে তাকে ১ম করে দেয়া এবং অন্যদের সিজিপিএ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৩.৫০ এর নিচে নামিয়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মুখে নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগে তাকে একটি শিক্ষাবর্ষের সকল কোর্স থেকে বিরতও রাখা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বাঁধা প্রদানের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে ।

যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করে নিয়োগের বিষয়ে ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ বলেন, এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং অপপ্রচার। সমস্ত শর্ত পূরণ করে, লিখিত এবং ভাইভাতে প্রথম হয়ে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি।

নম্বর টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়। আমি কখনই এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত ছিলাম না। নম্বর টেম্পারিং বিষয়টা কি সেটাই আমি জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, এসব বিষয় নিয়ে অ্যাকাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। রিপোর্ট পেলেই আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







সংবাদ ছবি
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
২৩ অক্টোবর ২০২৫ রাত ০৮:৪৪:৪৪

সংবাদ ছবি
আবহাওয়ার ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে যা রয়েছে
২৩ অক্টোবর ২০২৫ রাত ০৮:৩৭:২০

সংবাদ ছবি
বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
২৩ অক্টোবর ২০২৫ রাত ০৮:২৩:৩৬



Follow Us