• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ রাত ০৮:১৪:২২ (05-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

টাঙ্গাইলে রোপা আমন চাষে সাফল্য

৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৪:৪৪:৩৭

সংবাদ ছবি

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে রোপা আমন ধান চাষে সাফল্য পাওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। ভালো বীজ, আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ছোঁয়া এবং অনুকূল পরিবেশের ফলে বিঘা প্রতি ২ থেকে ৪ মণ ধান উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকের আনন্দ বেড়েছে বহুগুণে। তাই মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা বাজারে রোপা আমন ধানের ভালো দাম প্রত্যাশা করেছে।

Ad

এদিকে অগ্রহায়নের শুরু থেকে জেলার চাষিরা আমন ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে জেলায় উৎপাদনের প্রায় ৬৩ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ধানগুলো ক্ষেত থেকে কেটে-মাড়াই করে ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত কৃষাণ-কিষাণীরা।  

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২ হাজার হেক্টর, কিন্তু সরকারি প্রণোদনা ও উন্নত বীজ সরবরাহের ফলে আবাদ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৮৩ হেক্টর। জেলায় প্রায় সব উপজেলাতেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে এবং ফলনও তুলনামূলকভাবে ভালো পাওয়া গেছে।

Ad
Ad

সরেজমিনে জেলার কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দিগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে চলছে রোপা আমন ধান কাটার উৎসব। কৃষকরা ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে আধুনিক যন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন) ব্যবহার করে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে ভালো খড় পেতে প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ কৃষক হাতে ধান কেটে মেশিনে মাড়াই করছেন। কৃষকের উঠানে ইতোমধ্যে নতুন ধানের স্তূপ জমতে শুরু করেছে। রোপা আমন উঠতে কিষাণীরাও দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছে না। 

কৃষকরা জানায়, বিগত বছরগুলোতে বিঘাপ্রতি তারা ১৪-১৬ মণ হারে রোপা আমন উৎপাদিত হতো। এ বছর বিঘাপ্রতি ১৮-২০ মণ হারে ধান পাচ্ছেন তারা। ভালো বীজ বপন ও জমি প্রস্তুত থেকে মাড়াই পর্যন্ত  আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে আবাদ করায় উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করছেন তারা। অধিক ফলন পাওয়ায় কৃষকদের হাসি-আনন্দ পরিবার থেকে পাড়া-গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

কৃষকরা আশা করছেন, বাজারে রোপা আমন ধানের আশানুরূপ দাম পেলে তারা এ মৌসুমে লাভের মুখ দেখবেন। আর বাজার যদি কম থাকে তবে ফসল উৎপাদনের ইচ্ছাশক্তি অনেকটা মৃয়মান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশেক পারভেজ জানান, ‘মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষে প্রশিক্ষণ ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা এবং বীজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার ফলে এবার রোপা আমন ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়ে অনেক খুশি।  

তিনি জানান, ইতোমধ্যে জেলার এক লাখ ৪ হাজার ৫৮৩ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত ধানের মধ্যে প্রায় ৬২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমির ধান কর্তন শেষ হয়েছে। যা জেলায় উৎপাদিত রোপা আমনের প্রায় ৬৩ শতাংশ। ধান কাটার পাশাপাশি দ্রতগতিতে চলছে মাড়াইয়ের কাজও। জেলার এ বছর হাইব্রিড ও উফশী জাতের আমনের চারা রোপণ করা হয়েছিল। কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের আমনের চাষও হয়েছে। রোগবালাই কম থাকায় সব জাতেরই আশানুরূপ ফলন হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে জেলায় রোপা আমন ধান কাটা শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ


সংবাদ ছবি
ঢাকা ৩ আসনে অধ্যক্ষ মো. শাহিনুর ইসলাম’র গণমিছিল
৫ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫:৫১

সংবাদ ছবি
ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সতর্ক হওয়ার আহ্বান
৫ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৭:৩৬






সংবাদ ছবি
সৌদিতে তারার হাট, নজর কাড়লেন ঐশ্বরিয়া
৫ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৩২:২৯



Follow Us