• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৩৩:২৫ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৩৩:২৫ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

মেহেরপুর রোপা আমনের ক্ষেতে সোনালী ঝিলিক

নুরুজ্জামান পাভেল, মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলার মাঠে মাঠে রোপা আমনের ধানের শীষে রোদ্রে সোনালী ঝিলিকে কৃষকের মুখে হাসি। দিগন্ত জুড়ে রোপা আমন ধানের মাঠে মাঠে এখন শীতের আগমনীর হিমেল হাওয়ায় দুলছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী রঙ্গের রোপা আমন ধান। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পুরো দমে শুরু হবে রোপা আমন কাটা ও মাড়াই। রোপা আমন ধান ঘরে তোলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।মেহেরপুর জেলার মাঠের ধানে সোনালী রং, ধানের সাথে সাথে কৃষকরাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে স্বপ্নের সেই ফসল ঘরে তোলার। অন্য বছরগুলোতে কৃষকরা ধানের দামে তেমন খুশি না হলেও, এবছর দাম ভালো থাকায় কৃষকের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। তাই উৎফুল্লতা নিয়ে কৃষাণ কৃষাণীরা বাড়ির আংগীনা ও আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন।কৃষকরা বলছেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বৃষ্টির ঘাটতি না থাকায়, আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। সেই সাথে বর্তমানে বাজারে ধানের যে দাম রয়েছে, তাতে লাভ হবে কৃষকদের। অতীতের যে কোনো বছরের চেয়ে এবছর কৃষকরা অধিক ফলন পাবে বলে আশা করছেন। ফলে, কৃষকরা খুশি মনে রোপা আমন ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তারা বলছেন, ধানে পাক ধরার সাথে সাথে ইঁদুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন পোকা মাকড় দমনে কীটনাশক ব্যাবহার করতে হয়েছে। বর্তমানে কারেন্ট পোকা ও পচন রোধে ধানে কীটনাশক ব্যবহার করার পাশাপাশি ইঁদুরের উপদ্রব ইঁদুর মারার ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে আমন চাষে খরচ বাড়লেও ফলন ও দামে পুষিয়ে যাবে।মেহেরপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায় এবার আমন আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ২৯৪৩৫ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ২৮৩৮৭ হেক্টর জমিতে।জেলার কৃষি উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, এবার রোপা আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় শতভাগ জমিতে লাইভ পার্চিং করা হয়েছে। ছাড়া প্রায় ৯০ ভাগ জমিতে সঠিক বয়সের চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রায় ৮০ ভাগ জমির ধান সারিতে রোপণ করা আছে।তিনি আরও বলেন, এ বছর জেলার আমন আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জন হয়েছে। মাঠে ফসলের সার্বিক অবস্থা ভালো, মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিয়মিত কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদান করছে। এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কৃষক সমাবেশ, উঠান বৈঠক ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।