নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ধামরাইয়ে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে আল আমিন (১৭) নামে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে দলবদ্ধভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

৭ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া আদর্শ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিত আল আমিন সাত্তার আলীর ছেলে।


অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার কুদ্দুস, রব, হারুন, আসলাম, শাহ আলম, সাব্বিরসহ আরও ১০–১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে কুদ্দুসের বাড়ি থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে আল আমিনকে বাড়ি থেকে ধরে এনে প্রথমে মারধর করা হয় এবং পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে সে ফোনটি চুরির কথা স্বীকার করে জানায়, মোবাইলটি পাশের এলাকার একজনের কাছে বিক্রি করেছে। পরে স্থানীয়রা সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ফোনটি উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আল আমিনকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় কয়েকজনকে মারধর করতে দেখা যায়।
আল আমিন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুদ্দুস, তার বাবা রউফসহ কয়েকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসে। পরে কাঠের টুকরা দিয়ে আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর টেনে কুদ্দুসের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়। স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বিকেলে তাকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাতে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আহত হওয়ার চিহ্ন দেখা যায়।
আল আমিনের মা রেখা অভিযোগ করে বলেন, “ছেলে ভুল করলে আইনের হাতে দিতো। কিন্তু যেভাবে অমানবিকভাবে মেরেছে-তার বিচার চাই।”
ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) দেবাশীষ সাহা বলেন, “ভিডিওটি দেখা হয়েছে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available