নিজস্ব প্রতিবেদক : ছয় বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল আহাদের (৪৬) মরদেহ ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

২৯ অক্টোবর বুধবার সকালে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


পুলিশ জানায়, মরদেহের পকেটে থাকা উত্তরা ব্যাংক ফেনীর বিরিঞ্চি শাখার একটি চেকের সূত্রে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
নিহত আবদুল আহাদ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের ইমানী মিয়ার ছেলে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আবদুল আহাদ ২০১৯ সালের ১ মে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে নিখোঁজ হন। পরদিন এক অজ্ঞাত নম্বর থেকে পরিবারের কাছে ফোন আসে আহাদকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে বিকাশে ২ লাখ টাকা পাঠাতে হবে। পরিবার টাকা পাঠালেও এরপর তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিহতের বোন নাঈমা নাসরিন মনি বলেন, ‘আমার ভাই সিলেট ব্রিটানিকা উইমেন্স কলেজে প্রভাষক ছিলেন। পরে কাস্টমসে যোগ দিয়ে সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করেন। অপহরণের পর থেকে আমরা ভাইকে আর পাইনি। বুধবার ফেসবুকে দেখি ফেনীতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।’
নিহতের ভাগ্নে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আহাদের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। ছোট মেয়ে জন্মের আগেই তিনি নিখোঁজ হন। এছাড়া তার খোঁজ না পেয়ে শোকে মারা গেছেন তার বাবা-মা।
তিনি বলেন,‘ছয় বছর নিখোঁজ থাকার পর এমনভাবে তার মরদেহ পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ মৃত্যু রহস্যজনক।’
ছাগলনাইয়া থানার এএসআই মো. শাহ আলম জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, ‘ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছি। মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available