নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার জিমখানায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে যৌথ বাহিনী।
২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে এ অভিযান চালায়।
অভিযানে মাদক কারবারি আলম চাঁনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপতার করা হয়। সেখানে তল্লাশিতে দেড় কেজি গাঁজা, ২৫০ মিলিলিটার বিদেশি মদ, তিনটি বড় ছোরা, একটি স্টিলের চাপাতি, একটি টেটা ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। আলম চাঁনের নামে সদর থানায় আগেই ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে নতুন মামলা হবে।
অভিযানে আরও দুই নারী মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়েন-পারভীন আক্তার (৩৫) এর কাছ থেকে ২৪ পিস ইয়াবা এবং আফরিনা ওরফে হাসি (৫০) এর কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে।
একই অভিযানে গাঁজা রাখা ও সেবনের অভিযোগে পাঁচজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। তাদের মধ্যে মো. ফয়সল ও রিফাতকে ১২ দিন, জুবায়ের ভূইয়া রানাকে ২০ দিন, মোস্তফা হোসেনকে ১৪ দিন এবং অভিনন্দীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, মাদকসেবীদের নির্দিষ্ট স্পটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলছে। ফতুল্লায় অভিযানের ধারাবাহিকতায় এবার জিমখানায় আলম চানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা, বিদেশি মদ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়। তার নামে একাধিক মাদক মামলা ও ওয়ারেন্ট আছে। এছাড়া দুই নারী মাদক কারবারিকে ৬০ পিস ইয়াবাসহ ধরা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচজনকে ৭ দিন থেকে ২০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে। সেনাবাহিনী, ডিবি ও স্থানীয় পুলিশ মিলে এই অভিযান পরিচালনা করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available