• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৫:১৯:৩০ (15-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৫:১৯:৩০ (15-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

নাব্যতা সংকটে কর্ণফুলী: ফেরি চলাচলে বিঘ্ন, দুর্ভোগে জনসাধারণ

মো. আজগর আলী খান, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: নাব্যতা সংকট ও জোয়ার ভাটার কারণে প্রায় সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাপ্তাই উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, চট্রগ্রাম ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক পথে ফেরিযোগে পার হতে আসা শত শত যানবাহনের চালক এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। নাব্যতা সংকটে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারীদের। এতে করে সময় যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল প্রায় ১১টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার হতে রাত প্রায় ১০টার পর থেকে গত বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ফেরির দায়িত্বরত কর্মচারি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কর্ণফুলী নদীতে ভাটার সময় পানি এতটায় কমে যায় যে, নাব্য সংকটে নদীর বুকে জেগে ওঠে বালুর চর। তখন ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। ফেরির মোটরের পাখা বালুরচরে আটকা পড়ে। তাই বন্ধ রাখতে হয় ফেরি পারাপার। তবে যখন নদীতে জোয়ারে পানির পরিমাণ বাড়ে তখন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।এদিকে দীর্ঘক্ষণ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে নদীর দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এমন দুর্ভোগের চিত্র প্রায় সময় দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।কর্ণফুলী নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাস চালক ও অনান্য একাধিক চালক জানান, ফেরি পারাপারে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর-দুরান্ত থেকে আমরা গাড়ি চালিয়ে এসে এই জায়গায় থমকে যেতে হয়। কখন ফেরি চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে সবার মাঝে দেখা দেয় চিন্তা। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।ঢাকার থেকে আসা পর্যটক বান্দরবানগামী একাধিক যাত্রী জানান, একমাত্র এই ফেরির দুর্ভোগের কারণে আমরা অনেক সময় বান্দরবান যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ফেরি চলাচল বন্ধ, তাই কখন চালু হবে এই অপেক্ষায় না থেকে আমাদের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়াও বেশি গুনতে হয়, আবার সময়ও লাগে প্রচুর। এই দুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি মিলবে জানি না।চন্দ্রঘোনা এলাকার স্থানীয়রা এশিয়ান টিভি অনলাইনের প্রতিবেদককে বলেন, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এছাড়া অনেক সময় খবরও আসে, এখানে নাকি সেতুর অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। তবে কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ড্রেজিং করা হলে নাব্যতা সংকট দুর হবে।অতি জরুরি কাজে তিনি যাত্রী এবং চালকদের ফেরি চলাচল বন্ধকালীন সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।উল্লেখ্য, রাঙামাটি, রাজস্থলী, বান্দরবান, বাঙালহালিয়া হয়ে এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাফেরা করে। এমন কি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করে। ফলে সর্বসাধারণের দাবি, দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার ব্যবস্থা করা।