• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ রাত ০৮:৩০:২৭ (25-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

নওগাঁয় অস্থায়ী ফুলকপির হাটে জমজমাট বেচাকেনা

নওগাঁ প্রতিনিধি: শীতকালীন সবজির মৌসুমে নওগাঁয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমজমাট বেচাকেনা চলছে ফুলকপিকে কেন্দ্র করে। উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দাম কিছুটা কমলেও কৃষকেরা লাভের আশায় মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ–রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ডাক্তার মোড় এলাকায় গত ১০ দিন ধরে বসছে অস্থায়ী পাইকারি ফুলকপির হাট। প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ভ্যান, সাইকেল কিংবা কাঁধে করে কৃষকেরা ফুলকপি নিয়ে আসেন এই টোলমুক্ত হাটে। প্রতিমণ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। দেড় ঘণ্টার এই সাময়িক হাটে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকার বেচাকেনা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এখান থেকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ফুলকপি পাঠানো হয় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১২০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি আবাদ করা হয়েছে, যার উৎপাদন প্রত্যাশা প্রায় ২ হাজার ১০০ টন।চক-বালুভরা এলাকার কৃষক মোতালেব হোসেন জানান, ১৫ কাঠা জমিতে ২২শ ফুলকপি চারা রোপণে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি গড়ে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হলে ৫৫ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন তিনি। খরচ বাদে লাভ থাকবে অন্তত ৪০ হাজার টাকা।হাঁপানিয়া গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘হাটে গেলে প্রতিপিসে ২ টাকা খাজনা ও ১ টাকা ভাড়া গুনতে হতো। এখানে টোল ছাড়া বিক্রি করতে পারায় কৃষকদের বাড়তি সুবিধা হয়েছে।’তিনি জানান, ১৫ দিন আগে প্রতিমণ ফুলকপি ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম নেমে এসেছে ১ হাজার টাকায়।পাইকারি ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন তিনি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার ফুলকপি কিনে ঢাকায় পাঠান। তার মতে, দিন যত যাবে সরবরাহ আরও বাড়বে এবং দাম কিছুটা কমে আসবে। প্রায় আরও এক মাস এ হাটে বেচাকেনা চলবে বলে আশা করছেন তিনি।নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. হোমায়রা মণ্ডল বলেন, ‘ভাল দাম পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক আগাম ফুলকপির আবাদ করেন। শুরুতে উৎপাদন কম থাকায় দাম বেশি পাওয়া যায়, তবে এখন উৎপাদন বাড়ায় দাম স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমেছে। তারপরও বাজারে ফুলকপির দাম কৃষকবান্ধব রয়েছে।’