• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ সকাল ০৮:২৫:২০ (15-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ সকাল ০৮:২৫:২০ (15-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

ছেলের বিলাসিতার ছবি ভাইরাল, জনরোষে পদ গেল প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছেলের বিলাসবহুল জীবনযাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক জনরোষ ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভ চলছিল দেশটিতে। অবশেষে, অনেকটা চাপে পড়ে পদত্যাগ করেছেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভসান্নামস্রাইন ওয়ুন-এর্দেন।৪ জুন বুধবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।ওয়ুন-এর্দেন ছেলে ও তার বান্ধবীর একটি ব্ল্যাক ডিওর শোল্ডার ব্যাগ এবং শপিং ব্যাগ নিয়ে বিলাসবহুল ছুটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।এই ছবিগুলো নিয়ে জনগণ প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবার কীভাবে এতো বিলাসিতা করতে পারছে? স্থানীয় মিডিয়া জানায়, দেশের দুর্নীতি দমন সংস্থা তাদের আর্থিক অবস্থান তদন্ত করছিল।গোপন ভোটে সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৪৪ জন ওয়ুন-এর্দেনের পক্ষে ভোট দিলেও, ৩৮ জন তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। সংসদের ১২৬ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ৬৪ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল ওয়ুন-এর্দেনের। ভোটের পর তিনি বলেন, ‘মহামারি, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটের মতো কঠিন সময়ে দেশ ও জনগণের সেবা করা আমার জন্য সম্মানের ছিল।’এর আগে, দুই সপ্তাহ ধরে শত শত বিক্ষোভকারী, যাদের বেশিরভাগই তরুণ, রাস্তায় নেমে তার পদত্যাগের দাবি জানায়। ওয়ুন-এর্দেনের দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, তার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মঙ্গোলিয়ায় দুর্নীতি বেড়েছে। গত বছর সরকারি স্বচ্ছতায় দেশটি ১৮০টি দেশের মধ্যে ১১৪তম স্থানে ছিল।রাশিয়া ও চীনের মধ্যে অবস্থিত এই প্রাক্তন কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি ১৯৯০-এর দশক থেকে গণতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে। তবে দুর্নীতি এখানে একটি বড় সমস্যা। গত বছর, মার্কিন অভিযুক্তরা মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুখবাতার বাতবোল্ডের দুটি নিউইয়র্ক অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, যেগুলো তিনি খনিজ তহবিল আত্মসাৎ করে কিনেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাতবোল্ড, যিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন, দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করেননি তিনি।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মঙ্গোলিয়া পশ্চিমের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের ‘তৃতীয় প্রতিবেশী’ নীতি হিসেবে গণ্য করা হয়।