তেঁতুলিয়ায় তীব্র শীত, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ক্রমশ উাঠানামা করছে। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামার ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষরা।১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগও। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে নিম্নআয়ের মানুষদের মাঠে-ঘাটে বের হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।রাস্তাঘাট, বাড়ির সামনে কিংবা চা-স্টলের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীত নিবারন করতে খড়কুটো জালিয়ে আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও জেলা চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।এছাড়াও জেলা শহরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে শীতবস্ত্রের দোকানগুলো জমে উঠেছে। সাথে পিঠাপুলি ও কৃষকরা তাদের জমির শীতকালীন শাকসবজি বাজারে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে৷তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, টানা পাঁচ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করার পর আজ তা আরও কমেছে। আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এমসয় বাতাসের আদ্রতা ৭৮% । সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শীতের এই দুর্যোগে জেলা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন নিয়মিতভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ অর্থে ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল ক্রয় করে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৬৫ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।