• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২১শে আশ্বিন ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:১৪:০৮ (06-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ঈশ্বরদীতে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা শাখা ব্যবস্থাপক

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে জনতা ব্যাংক পিএলসি পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) খালেদ সাইফুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ১ (এক) কোটি ৩০ (ত্রিশ) লাখ টাকা নিয়ে এ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে ব্যাংকের নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।জনতা ব্যাংক পিএলসি ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক জিডিতে উল্লেখ করেন, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ ক্যাশ রেমিট্যান্সের জন্য করপোরেট শাখায় আসেন।এর আগে শনিবার টেলিফোনে তিনি ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজনের কথা জানান। কিন্তু নগদ সংকটের কারণে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা দিতে চাওয়া হলে তিনি রাজি হননি। পরদিন সকালে আবার ফোন করে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকার চাহিদা জানান।জিডিতে আরও বলা হয়েছে, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লাহ জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর ঈশ্বরদী করপোরেট শাখা থেকে আরও ১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন। টাকা হস্তান্তরের সময় তার সঙ্গে ছিলেন আনসার সদস্য মাহবুব।সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রাইভেট কারে পাকশী শাখার উদ্দেশ্যে রওনা দেন খালেদ সাইফুল্লাহ, মাহবুব ও গাড়িচালক মো. ইসমাইল হোসেন।কিন্তু পাকশী শাখায় পৌঁছে টাকা জমা দেওয়ার কথা বললেও এরপর থেকে ম্যানেজারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, বলেন মহাব্যবস্থাপক মোহছানাতুল হক।বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে পাকশী শাখার সহকারী ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায়, তিনি তখনও অফিসে পৌঁছাননি। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করেন এবং পরামর্শে থানায় জিডি করা হয়।জনতা ব্যাংক দাশুড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে পাকশী শাখার ম্যানেজার খালেদ সাইফুল্লাহ আমাদের শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ীই টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।আনসার সদস্য মাহবুব বলেন, ঈশ্বরদী ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে এসে তিনি আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এরপর গাড়ি নিয়ে চলে যান।নিখোঁজ ব্যাংক ব্যবস্থাপকের স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো সকালেই তিনি বাসা থেকে ব্যাংকে যান। বিকেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা এসে জানান, তিনি নিখোঁজ। এখন পর্যন্ত মোবাইল বন্ধ। তিনি কোথাও স্বেচ্ছায় গেছেন, নাকি কেউ গুম করেছে- আমরা জানি না।ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর বলেন, ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।