কাঁদছে গাজা, নীরব পৃথিবী; মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো আরও ৬৯ প্রাণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে আরও অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৯ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন ৪২২ জন। এতে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫ জনে। এছাড়া বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তায় চাপা পড়ে রয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৯০ জনের বেশি। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৩৬২ জনে। আহত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪৩৪ জনের বেশি মানুষ।এছাড়া শুধু অনাহার ও পুষ্টিহীনতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহার-সম্পর্কিত মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৬ জনে, যাদের মধ্যে ১৩৪ জন শিশু।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল সম্পূর্ণভাবে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ২৪ লাখ জনসংখ্যার এ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা চরম দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছে। জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা জরিপ ইতোমধ্যেই উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত করেছে এবং চলতি মাসের শেষ নাগাদ তা আরও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে।সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল ফের গাজায় হামলা শুরু করেছে। তখন থেকে অন্তত ১১ হাজার ৭৬৮ জন নিহত এবং ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন আহত হয়েছেন। এতে জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে গেছে।এর আগে গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কারণে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।সূত্র: আনাদোলু