লালমনিরহাটে ডিবি পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ, নিখোঁজ কিশোর
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে ডিবি পুলিশ দেখে নদী ঝাঁপ দিয়ে শান্ত রায় (১৪) নামে এক কিশোর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ডুবুরি দল।২০ জুলাই রোববার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মেঘারাম গ্রামের ছয়মাতার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধারে রাত ৮টার দিকে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরি দল।নিখোঁজ তরুণ শান্ত রায় পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমন্ডল গ্রামের বিনদ চন্দ্র বর্মনের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার গোড়কমন্ডল থেকে মোটরসাইকেলের সিটে গাজা ফিটিং করে একটি চক্র মাদক পাচার করে লালমনিরহাটের দিকে আসতেছে। এমন একটি গোপন খবরে অভিযান চালায় লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ দল। সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মেঘারাম গ্রামে ধরলা নদীর ছয়মাতার ঘাট নামক একটি নৌ-ঘাটে অবস্থান নেয় ডিবি পুলিশ। দুপুরে নৌকা ঘাটে পৌঁছামাত্র ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেলসহ অমল চন্দ্র নামে এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করে চার কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।এসময় পুলিশ ঝামেলা এড়াতে শান্ত রায় নৌকা থেকে ধরলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কিছু দুর সামনে উঁচু স্থানে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ সেখানে ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করলে পুনরায় নদীতে ঝাঁপ দেয় শান্ত রায়। এরপর থেকে কোনো খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরের। দিনভর অনেক খোঁজা খোঁজির করেও তার সন্ধান না পেয়ে সন্ধ্যায় নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। তবে এ রিপোর্ট লেখা (রাত পর্যন্ত) তার সন্ধান মেলেনি।নিখোঁজ শান্ত রায়ের ভাই স্বপন রায় বলেন, শান্ত মামার বাড়ি লালমনিরহাট ভাটিবাড়ি যেতে নৌকায় উঠে। সেই নৌকায় পুলিশের হাতে গাঁজাসহ আটক হয় আমাদের প্রতিবেশী অমল। এটা দেখে ভয়ে সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পাশে উঁচু স্থানে দাঁড়ায় এবং একজন নারীর সহায়তা নিতে চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধাওয়া দিলে সে পুনরায় নদীতে ঝাঁপ দেয়। দুপুরে নিখোঁজ হলেও সন্ধ্যা অবধি কোনো খোঁজ মেলেনি।লালমনিরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাদ আহমেদ বলেন, আমাদের হাতে একজন আটক হয়। এটা দেখে শান্ত নামে একজন মাদক বিক্রেতা পালিয়েছে। আমরা তাকে ধাওয়া দেই নি। কেন সে পালিয়েছে তা জানা নেই। তবে আটক ব্যক্তির তথ্যমতে পলাতক শান্তও তার সঙ্গী ছিল।লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা তদন্তে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।