• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০৮:২৯:৩১ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০৮:২৯:৩১ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

অফিস সহকারির গাফলতিতে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি রাশেদা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে চলমান আলীম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি রাশেদা বেগম নামে কাশীরাম আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী। পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার অফিস সহকারি রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর গাফিলতির কারণে চলতি আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি রাশেদা।এদিকে পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় ২০ আগস্ট রোববার রাশেদার মা আমিনা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগপত্রে রাশেদার মা লিখেছেন, গত ১৭ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার এডমিট ও প্রবেশপত্র নিতে যায় আমার মেয়ে রাশেদা বেগম। কিন্তু রাশেদাকে কর্তৃপক্ষ জানায় যে, তোমার ফর্ম ফিলাপ হয় নাই। তখন মাদ্রাসার অফিস সহকারি রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলে, ফরম ফিলাপের দিন সার্ভার ছিল না। এই কথা শুনে শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করে বাড়িতে এসে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়।আমিনা বলেন, আমি নিজে ঘটনা জানতে মাদ্রাসা যাই। মাদ্রাসা গিয়ে একই কথা শুনতে পাই। দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর সঙ্গে আমাদের মামলা চলছে। এরই জের ধরে আমার মেয়ের জীবনের উন্নতি যেন না হয়, সেজন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার মেয়ের জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট করে দিয়েছে। ফরম টাকাও আত্মসাৎ করেছে। আমি এর উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুকে রাশেদার ফরম ফিলআপ বাবদ গত ১৭ আগস্ট ২ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা জমা দেওয়ার পরেও আমার মেয়ে আলীম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। যে কারণে সে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অশান্তিতে ভুগছে।এ ঘটনার জন্য তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষকদেরও দায়ি করেছেন।এ অভিযোগের বিষয়ে কাশীরাম মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আমাকে বলেছিল ২৬ তারিখ ফরম ফিলাপের লাস্ট ডেট, কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় আমি ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে দেখি ২৫ তারিখ ডেট শেষ, সে কারণে তার ফরম ফিলআপটি করা যায় নি।এ অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান (রতন) বলেন, ফর্ম ফিলাপের টাকা দিয়েছে আমি জানি। তবে কি কারণে তার ফরম ফিলাপ হলো না, এ জন্য অফিস সহকারী মঞ্জুকে নোটিশ করেছি। এর জবাব দিতে না পারলে আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।