তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও কঠোর করেছে। ফলে বড় ধরনের অপব্যবহার না করলেও হঠাৎ সতর্কতা ছাড়াই স্থায়ীভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে। চ্যাট, কল, গ্রুপসহ সব ধরনের যোগাযোগ এক মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপের হেল্প সেন্টার বলছে, ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করা, প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার বা পরিষেবার শর্ত ভাঙলে অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চারটি সাধারণ ভুলের কারণে সবচেয়ে বেশি ব্যান হয় অ্যাকাউন্ট। চলুন জেনে নেই সেগুলো কী।


১. অননুমোদিত বা পরিবর্তিত অ্যাপ ব্যবহার
GB WhatsApp, Yo WhatsApp ও WhatsApp Plus-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এসব থার্ডপার্টি অ্যাপ এনক্রিপশনকে দুর্বল করে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। হোয়াটসঅ্যাপ নিয়মিত এমন অ্যাপ শনাক্ত করে সংশ্লিষ্ট নম্বর স্থায়ীভাবে ব্যান করে।
২. বাল্ক মেসেজ বা স্প্যাম পাঠানো
অপরিচিত মানুষদের কাছে একই ধরনের বার্তা পাঠানো, বারবার ফরোয়ার্ড করা বা যাদের কনট্যাক্টে নেই, এমন ব্যক্তিদের গ্রুপে যুক্ত করা স্প্যাম আচরণ হিসেবে গণ্য হয়। এ ধরনের কার্যকলাপে অ্যাকাউন্ট হুট করেই নিষিদ্ধ হতে পারে, বিশেষ করে অভিযোগ পেলে।
৩. হয়রানি, হুমকি বা প্রতারণা
অপমানজনক বার্তা, হুমকি, ঘৃণাবাচক বক্তব্য বা কারও পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণামূলক কার্যকলাপ — এসবই হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন। এমন আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৪. সতর্কবার্তা উপেক্ষা করা
প্রথমবার নিয়মভঙ্গ করলে সাধারণত সাময়িক অসুবিধা হবে। কিন্তু একই আচরণ পুনরায় করলে বা নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর একই কাজ চালিয়ে গেলে অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি ছোট ভুলও বড় ধরনের ‘কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট’-এর কারণ হতে পারে। তাই অননুমোদিত অ্যাপ ব্যবহার না করা, স্প্যামিং এড়িয়ে চলা, গোপনীয়তা রক্ষা করা ও সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। এতে স্থায়ী ব্যান থেকে বাঁচা সম্ভব।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available