• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৮শে কার্তিক ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:৩৩:০৮ (12-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:

অগ্নিসন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান ছাত্রশিবিরের

১২ নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৫:৫১:৫০

সংবাদ ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Ad

১২ নভেম্বর বুধবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Ad
Ad

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ এক কঠিন ও সংবেদনশীল সময় অতিক্রম করছে। সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের শিকল ভেঙে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশের নির্মাণ-প্রক্রিয়া শুরু হলেও, একই সঙ্গে কথিত রাজনীতির নামে সামাজিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পুরনো দ্বন্দ্ব আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই দ্বন্দ্বে কে বিজয়ী হবে তা সময়ই বলে দেবে, তবে দেশের আপামর ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামী মূল্যবোধ ও জুলাই বিপ্লবের আদর্শ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির অঙ্গীকারবদ্ধ।

স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের মানুষ এখনো জুলুম ও নির্যাতনের শৃঙ্খল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারেনি। এ কারণেই এই মাটিতে বারবার আন্দোলন ও বিপ্লবের স্ফুরণ ঘটেছে। হাজারো তরুণ প্রাণ দিয়েছে একটি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে। তাদের সেই ত্যাগ ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন জাগরণের অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এই বিপ্লবই সাড়ে ১৫ বছরের গড়ে ওঠা ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য সৎ, যোগ্য, দক্ষ, আদর্শ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পেরেছে—আলহামদুলিল্লাহ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।

আশা করি, প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের আয়োজনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এটি নিঃসন্দেহে অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক সংস্কারের প্রথম সোপান।

জুলাই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে এখন আমাদের মূল লক্ষ্য জাতীয় টেকসই রাজনৈতিক সংস্কার, যা আগামী দিনে একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক হবে।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার রাজনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সংস্কার রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে ফ্যাসিবাদী রাজনীতির ধ্বংসাবশেষকে টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা করছে। আমরা এ ধরনের স্বার্থান্বেষী রাজনীতির তীব্র নিন্দা জানাই।

যে সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও ব্যবস্থার মাধ্যমে পূর্ববর্তী সরকার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল, তার ন্যূনতম সংস্কারও এখনো হয়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রায় দুই হাজার শহীদের রক্তে অর্জিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বৈধতা রক্ষার জন্য জুলাই সনদ আইনগতভাবে স্বীকৃত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমরা দলীয় এজেন্ডার গণ্ডি পেরিয়ে দ্রুত গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি প্রদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে একটি দলের রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে চাঁদাবাজি এক মহামারি রূপ নিয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে এই চাঁদাবাজরা একপ্রকার অরাজকতা চালিয়েছে। এরই মধ্যে পুরোনো ঢাকায় চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে হত্যার ঘটনা গোটা জাতিকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এই দলীয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হলেও একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা থানায় চাপ প্রয়োগ কিংবা মব সৃষ্টি করে তাদের ছাড়িয়ে নিচ্ছে।

এটি আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং সরকারের সক্ষমতা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করছে।

আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, দেশের অন্য রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের ওপর নিয়মিত বাধা প্রদান ও হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে নোয়াখালী, ফেনী, নওগাঁ ও ঝিনাইদহে নারীদের ওপর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী দ্বারা হামলার ঘটনা সম্প্রতি সকলের নজরে এসেছে। উদার গণতান্ত্রিক ও নারীবান্ধব দল হিসেবে নিজেদের দাবি করা বিএনপি বাধাদানকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নারীদের কটূক্তিকারী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীর পক্ষে মিছিল করে বিএনপি ফ্যাসিবাদী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।

এমন আচরণ অগণতান্ত্রিক, ন্যক্কারজনক ও নারীদের প্রতি চরম মানহানিকর রাজনৈতিক অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ।

দুঃখজনকভাবে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা নেয়নি। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে কুরআন তালিমের মতো প্রোগ্রামে বাধা প্রদান ও হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া বিএনপির নির্বাচনের মনোনয়ন কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা, কোন্দল ও হত্যাকাণ্ড ঘটছে। গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে মনোনয়ন ঘোষণার পর বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ইতিমধ্যে ৩ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

আমরা এ সকল ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে আমরা দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সকল সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আমলে আমরা গণমাধ্যমের একপাক্ষিক অবস্থান দেখেছি। অনেক গণমাধ্যম নিরপেক্ষতা হারিয়ে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ প্রচারযন্ত্রে পরিণত হয়েছিল।

জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের প্রত্যাশা ছিল সকল গণমাধ্যম স্বাধীন আচরণ করে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে গণমাধ্যমের একপেশে আচরণ এখনো যায়নি।

বিশেষ করে জুলাই-পরবর্তী একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন টিভি ও মিডিয়া হাউস দখল করে নিজেদের মনমতো সংবাদ পরিবেশন করছেন। তার ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে কিছু গণমাধ্যম। সেটার সত্যতা তুলে ধরে ছাত্রশিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় এবং সে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার অপরাধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল (আরটিভি) থেকে দুইজন সাংবাদিককে ছাঁটাই করা হয়। এমন আচরণ ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত সকলের কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করছি। অন্যথায় দেশের গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে পড়বে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলেও সেটি অত্যন্ত ধীরগতির। এর কারণ, কিছু সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কালক্ষেপণ করাচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের ছাড়াতে একটি পক্ষ মামলা বাণিজ্যের মাধ্যমে জামিন করাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই জামিনের সঙ্গে ফ্যাসিবাদী মানসিকতার কিছু ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আইনজীবীরা জড়িত।

এমন অনেক তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যুগান্তর-এর তথ্য অনুসারে মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জামিনের জন্য লড়ছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মেজবাউল হক।

এ ছাড়াও গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের সকল মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, যা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। এমন আচরণ জুলাই শহীদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার রাজনীতির শামিল।

আগামীকাল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘোষিত হবে। ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

গত দুই দিনে এই সন্ত্রাসী সংগঠনের দুর্বৃত্তরা ১৫টির অধিক বাস আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ময়মনসিংহে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন বাসচালক নিহত হয়েছেন। আমরা মনে করি, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী। আমরা সরকারকে এই অগ্নিসন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সেই সঙ্গে জুলাই গণহত্যা ও সকল গুম, খুন, নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

যারা এই ফ্যাসিবাদী শাসনকে বৈধতা দিতে ভূমিকা রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল খুনি হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণা করবে। এ প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও অরাজকতার কোনো স্থান নেই।

দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের যেকোনো প্রচেষ্টা ছাত্রসমাজ ও জনগণ প্রতিহত করবে।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী জাঁতাকল থেকে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বাংলাদেশ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। প্রতিহিংসা, হীনম্মন্যতা ও পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি আবারও ফ্যাসিবাদী কাঠামো ফিরিয়ে আনতে পারে। তাই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মামলা বাণিজ্য ও সকল প্রকার সহিংস মনোভাব পরিহার করে একটি যৌক্তিক রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাচ্ছি।

পরবর্তীতে ছাত্রশিবির সভাপতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাইদুল ইসলামসহ কেন্দ্র ও মহানগর শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ












Follow Us