নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীনতা চায় নাই, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন, সে আমি আ স ম রবসহ বলেছিলাম শেখ মুজিব সাহেব আপনি আমাদের নেতা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তখন তিনি বলেছেন আমি পাকিস্তান দু’ভাগ করি আমার মৃত্যুদণ্ড হবে। তিনি আত্মসমপর্ণ করে পাকিস্তান চলে গেলেন, আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন মেজর জিয়া।

তিনি ১৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে নোযাখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়ন মহিলা দলের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।


তিনি আরও বলেন, চক্রান্ত চলছে। কেউ বলে ভোট করবে, কেউ বলে করবে না। আবার এখন শোনা যাচ্ছে, উপ–প্রধানমন্ত্রী না দিলে নির্বাচনে যাবে না। এত দিন বলা হতো, পিআর না দিলে নির্বাচন করবে না, গণভোট না হলে করবে না।
মহিলা দলের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, এই লড়াইয়ে জিততেই হবে। আমরা জিতলে ইনশাআল্লাহ, তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি পাঁচবার এমপি ছিলাম। কোনো দিন দুর্নীতির আশ্রয় নিইনি। সামনে আমার শেষ নির্বাচন। আমাকে অপছন্দ করলে ভোট দেবেন না, কিন্তু ভোট দেবেন ধানের শীষে। আমাকে অপছন্দ করতে পারেন, কিন্তু ধানের শীষকে নয়।
দলের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কেউ মনোনয়ন পাননি, এ কথা সত্য নয়। আপনারা প্রত্যাশী ছিলেন। এখন আর মিছিল-মিটিং নয়; আসুন, তারেক রহমানের কড়া নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, নোযাখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল্লা আল মামুন, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সুফিয়া আক্তার, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন, সদস্য সচিব সহিদ উল্যাহ প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available