নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট, অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে অপসারণসহ তিন দাবি জানিয়েছে ইসলামি ইসলামি আট দল।

১৪ নভেম্বর শুক্রবার সকালে আট দলের সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।


দাবিগুলো হলো: ভিন্ন ভিন্ন দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট ঘোষণা। অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে৷ প্রশাসনের রদবদলে নিরপেক্ষ ও জবাবদিহি আওয়াতাায় থাকতে পারে-এমন মনোভাবের লোকদের নিয়োগ করতে হবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘একটি দল শুরু থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের বিরোধিতা করেছে৷ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হয়ে একটি বিশেষ দলের স্বার্থ গুরুত্ব পেয়েছে। এই ভাষণের পর গণভোটে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে জটিলতায় ফেলে দিলো।’
ঐকমত্যে কমিশনে নানা সিদ্ধান্তে ৯০ শতাংশ দল একমত হলেও একটি দলকে গুরুত্ব দিতে প্রধান উপদেষ্টা ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে পাশ কাটিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করেন তাহের। তিনি বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো একটি দলের বিরুদ্ধে যাওয়ায় গণভোট নিয়ে তারা আতঙ্কে রয়েছে।’
তাহের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে গণভোট হলে দলটির চিন্তা চেতানার বিপরীতে যাবে। সে আশঙ্কা থেকে বলছে গণভোট হলে জীবনেও মানবে না। কিন্তু সরকার তাদের দাবির ওপর নতি স্বীকার করে একইদিনে গণভোট করার ঘোষণা দিয়েছে।’
‘এতে সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। কারণ, নির্বাচনের দিন নিজ দলের পক্ষে ভোট পাওয়ার জন্য সবাই মনোযোগী হবে। পরে গণভোটে ভোট কম পড়লে, যারা সংস্কার চাচ্ছে না তারাই বলবে- এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। আমরা মনে করি, এটা একটা ফাঁদ। বুঝে হোকো আর না বুঝে হোকে সরকার সেই ফাঁদে পা দিয়েছে,’ যোগ করেন জামায়াতের নায়েবে আমির।
তিনজন উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল বুঝিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন হবার পথ রুদ্ধ করছে অভিযোগ তুলে তাহের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে তিনজন উপদেষ্টা। তাকে ভুল বুঝিয়ে একটি বিশেষ দলকে সুযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না তা নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি। সম্প্রতি প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে সেখানেও একটি দলকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আট দলসহ আরও কিছু দল চাই, ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে নির্বচন সফল হক। এর জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি। কিন্তু যেই কারণে জনগণ ১৫ বছর ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছিল, আবারো সেই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আরেকটি পরিকল্পিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে কি না, তা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
এই সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নিরেপক্ষে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাহের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available