আগে সংস্কার-বিচার, তারপর নির্বাচন: সারজিস আলম
সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ঠিক সেইভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।৬ জানুয়ারি সোমবার বিকালে ফরিদপুর শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। সমন্বয়ক সারজিস বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সর্ব প্রথম সংস্কার করতে হবে। এর পর গণহত্যার ন্যায় বিচার হবে, পরিপূর্ণ সংস্কার হবে, তারপরে নির্বাচন। তার আগে কোনোভাবেই নির্বাচন দেওয়া যাবে না।সমাবেশে সারজিস আলম বলেন, যারা ক্ষমতার লোভে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের রক্ত ও জীবনকে বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বাংলাদেশের মানুষ। এই দেশের মানুষের জীবনের দিকে আর যদি কোনও শকুন দৃষ্টি দেয় তাহলে তার চোখ উপড়ে ফেলবো।সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন সময় বলে সিন্ডিকেট এক হাত বদলে আরেক হাতে গিয়েছে। আমরা আপনাদের বলতে চাই, সিন্ডিকেট বদলে যদি এক হাত থেকে আরেক হাতে যায়, এটা বলার জন্য আপনি সরকার হননি। বরং এই সিন্ডিকেটগুলো ভাঙার জন্য আপনাকে বসানো হয়েছে।কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সোহেল রানা, হাসিব-আল ইসলাম, রিফাত রশীদ, আশরেফা, কাজী রিয়াজ, ফারহান আহসান অর্ণব, নাবিলা তালুকদার, তাহসিন হাসান দ্বীন, মাহমুদুল হাসান ওয়ালিদ, সানজিদা রহমান সমতা, জেবা তাহসিন ও শাহ মো. আরাফাত।