নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদনের পরেও অস্থির পেঁয়াজের বাজার। মাঠ থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ। কিছুদিন পরই নতুন পেঁয়াজে ভরপুর থাকবে বাজার। পাশাপাশি এখনো দেশে এক লাখ টনের বেশি পুরোনো পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। এরপরও নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ কমিয়ে সরকারকে আমদানির অনুমতি দিতে চাপ প্রয়োগ করছে। তবে তাদের নজর আমদানিতে নয়।
৬ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর মালিবাগ বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা। এদিন নয়াবাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। রামপুরা কাঁচাবাজারে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা ও জিনজিরা কাঁচাবাজারে এই পেঁয়াজ ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে দুই দিন আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ছিল। আর অক্টোবরের শেষদিকে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দাম ছিল ৭০ টাকা। সেপ্টেম্বরে কেজিপ্রতি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে ভোক্তার পকেট কেটে বাড়তি মুনাফা করা। আর অসাধুরা সেই ছক তৈরি করে অক্টোবর থেকে। গত দুই দিনে কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা বাড়িয়ে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে বাজারে পণ্যটি কিনতে এসে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ক্রেতারা। আর এই খেলার নীরব দর্শকের ভূমিকায় প্রশাসন।


বাজারসংশ্লিষ্টের মতে, প্রতিবছর এই সময় মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এবারও তারা দাম বাড়াচ্ছে। গত মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্য দাম না পেয়ে সব পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এখন তাদের কাছে পেঁয়াজ নেই। তা অসাধু মজুতদারদের দখলে। এই সুযোগে মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার অজুহাত তুলে ভারত থেকে আমদানির জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে। তারা জানে সরকার মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে না। আর এই অজুহাত কাজে লাগিয়ে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়ানো হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available