বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে ।১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর তথা ১১ নং সেক্টর। ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সূচিত হয় জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ ঢাকা বিজয়ের পথ।

ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে যুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গড়ে তোলে শক্তিশালী ঘাঁটি। কামালপুর বিজয়ের লক্ষ্যে একাত্তরের ১১ নভেম্বর হানাদারদের শক্তিশালী ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হানাদাররা। ২৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ১৬২ জন সৈন্যের একটি দল যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এতে শত্রু মুক্ত হয় বকশিগঞ্জে উপজেলার ১১ নং সেক্টর ধানুয়া কামালপুর। তাই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছরই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা প্রশাসন ।


স্থানীয় সূত্র ও ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড়ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা চালাতো। উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়।
১৯৭১ সালের ৩১ জুলাই ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয় জেড ফোর্স। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান পাক বাহিনীর সঙ্গে মোকাবেলা করেন। তৎকালীন ৩১ জুলাই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাত বরণ করেন। দিনটি উদযাপন করতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা প্রশাসন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available