নিজস্ব প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, কবি ও গবেষক আহমদ রফিক।
৪ অক্টোবর শনিবার সকাল ১১টার পর থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রথমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, এবং গণসাংস্কৃতিক জোটসহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও ভাষা সৈনিক আহমদ রফিকের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নেতারা বলেন, দেশের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য আহমদ রফিক যে অনন্য অবদান রেখে গেছেন, তা জাতির জন্য চিরস্মরণীয়। তার চিন্তা ও কর্মধারা আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আহমদ রফিকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
রফিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি শোকযাত্রার মাধ্যমে মরদেহ কলেজে নেওয়া হয়, যেখানে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহারের জন্য তিনি মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন। এ সিদ্ধান্তে জাতি হিসেবে আমরা এক মানবিক দৃষ্টান্তেরও সাক্ষী হলাম।
২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে, রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কীর্তিমান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা, আলঝেইমার্স, পারকিনসন্স, ফুসফুসের সংক্রমণসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
আহমদ রফিকের লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। এর মধ্যে রয়েছে, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসবিষয়ক গ্রন্থ, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক গবেষণা, ছোটগল্প ও কবিতা, চিকিৎসাবিষয়ক সংকলন ও অনুবাদ।
তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য উপাধি (টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কলকাতা)
আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম বাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং চিন্তার জগতে একটি অনন্য উচ্চতা তৈরি করে গেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available