স্টাফ রিপোর্টার, শরীয়তপুর: কলেজ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেওয়া তরুণী দাবি করেছেন ধর্ষণের, তবে মেডিকেল রিপোর্টে আলামত নেই; পুলিশ জানায়, তিনি বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এর আগে শরীয়তপুর জেলা শহরের বনবিভাগ কার্যালয়ের পাশের নির্জন এলাকায় ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী। তিনি নিজেকে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।


শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ডা. হাবিবুর রহমান জানান, তরুণীর মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বর্তমানে সুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তরুণী আসলে কলেজ শিক্ষার্থী নন; তার বিয়ে হয়েছে এবং দুই সন্তান আছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, তরুণী হাসপাতাল এবং পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তরুণী অভিযোগ করেছিলেন, পরীক্ষা শেষে সহপাঠীর সঙ্গে বাসের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় কয়েকজন যুবক তাদের পথরোধ করে টেনে বনবিভাগের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে সহপাঠীকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
শাহাবুদ্দিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, কয়েকজন ছেলে একটি মেয়েকে নিয়ে আসছিল। তিনি তাদের প্রশ্ন করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি কান্নাকাটি করে স্থানীয়দের অভিযোগ জানান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available