নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম।

৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম রেল স্টেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে অপরাধী শনাক্ত করতে পারলেও পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন তিনি।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, সকালে রেল স্টেশনের ভেতরে ওভারব্রীজ দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় বেশ কয়েকজন তাঁর পথ আটকায়। এসময় তারা ধারালো অস্ত্রে মুখে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীরা তাঁর পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে ছিনতাইয়ের পর পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ছিনতাই হওয়ার পর আমি প্রথমে রেলওয়ে থানায় যোগাযোগ করি। কিন্তু তারা জানায় এটা তাদের এরিয়া না। বিভিন্ন কিছু বলে গড়িমসি করতে থাকে। পরে বারবার অনুরোধ করে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করি। ঐ ছিনতাইকারী চাপাতি ফারুক নামে পরিচিত। দুপুরের দিকে তাদের ধরতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গেলে ছিনতাইকারীরা একটি ভবনের ছাদে উঠে পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এলাকা সংক্রান্ত অজুহাতে রেলওয়ে, সদরঘাট ও কোতোয়ালি থানা একে অপরের ওপর দায়িত্ব ঠেলে দিয়ে তাকে হয়রানি করে। এক থানা থেকে অন্য থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকবার। পরে আমি সমন্বয়ক ছিলাম এই পরিচয় দিলে শেষ পর্যন্ত কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি নেয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, ঐ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে অনেক মামলা। ধরে চালান দিলে জামিনে বের হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত না হলেও ২০ বার ধরা হয়েছে, ২০ বার পাঠাইছি কোর্টে, জামিনে বের হয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য প্রচুর অভিযান চালাচ্ছি। দুই-একদিনের মধ্যে তাকে ধরে ফেলবো। তদন্ত চলমান রয়েছে। তাকে ধরার জন্য আমাদের প্ল্যান আছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available