গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম বাবরের ভাড়া বাসায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় তৈরি একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ পৌরসভার থানাপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। তবে ঘটনাটির পরও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে যৌথ বাহিনীর একটি দল থানাপাড়া এলাকার কেএম বাবরের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়।
এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসার বাথরুমের লোডাউনের (ফ্লাশারের) ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি দেশীয় পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
পরে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা কে এম বাবর বলেন, “আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই চিকিৎসক। সকালে কর্মস্থলে যাই এবং রাতে বাসায় ফিরি। বৃহস্পতিবার সকালে আমি ঢাকায় যাই। মা ১৫ দিন আগে গ্রামের বাড়িতে যায়, বাসায় তখন আমার স্ত্রী, দুই সন্তান ও গৃহকর্মী ছিল। রাত দুইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসায় গিয়ে পরিচয় দেওয়ার পর আমার স্ত্রী গেট খুলে দেয়। তারা বাসায় প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যে আমার মায়ের কক্ষের বাথরুমে গিয়ে ফ্লাশারের ভেতর থেকে একটি পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগ বের করে। ব্যাগ খুলে দেখা যায় এর মধ্যে লেদ মেশিনে তৈরি দেশীয় একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি রয়েছে। অথচ আমার বাসায় একটা চাকুও থাকে না। আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ এই কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি সেনাবাহিনীর কাছে অনুরোধ করছি, তারা বিষয়টি তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন হবে।
যারা এ তথ্য দিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, কে এম বাবরের বাসার বাথরুম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে এমনটি করতে পারে বা অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। যেহেতু ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না, আপাতত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available