• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:৩১:৪৩ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:৩১:৪৩ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

'মুজিবনগরের রাজাবাবু'র দাম ৩৫ লাখ টাকা

১৯ জুন ২০২৩ সকাল ১০:৫২:০৪

'মুজিবনগরের রাজাবাবু'র দাম ৩৫ লাখ টাকা

নুরুজ্জামান পাভেল, মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের খামারি ইনছান আলী তিন বছর আগে ৬ মাস বয়সী একটি গরুর বাছুর ৮৫ হাজার টাকায় কেনেন । তারপর থেকেই গরুটি লালন-পালন করে আসছেন তিনি। খামারি গরুটির নাম রেখেছেন 'মুজিবনগরের রাজাবাবু'।

গত বছর কুরবানির ঈদে ক্রেতারা রাজাবাবুর দাম সাড়ে ১৫ লাখ টাকা হাঁকলেও গরুটি বিক্রি করেননি খামারি ইনছান আলী। কালো কুচকুচে নাদুস-নুদুস গরুটির দাম এবারের কোরবানি বাজারে হাঁকানো হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা। মেহেরপুরে এবার কুরবানির পশুর হাটে সবচেয়ে আলোচিত গরু রাজাবাবু। প্রতিদিন গরুটিকে দেখতে খামারি ইনছান আলীর বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।

লম্বায় সাড়ে ১০ ফুট, উচ্চতায় ৬ ফুট আর ওজনে ৬০ মনের কালো কুচকুচে গরুটির রাজাবাবু নামের মতো খাবারও রাজকীয়। কাঁচা ঘাস, বিচালি, ভুট্টা, ছোলা, মোটরের ডাল, চালের গুড়া মিশিয়ে প্রতিদিন ২০ কেজি খাবার দিতে হয়। তাকে প্রতিদিন দুইবার গোসলও করাতে হয় ।

গরুটির মালিক খামারি ইনছান আলী বলেন, গত বছর কুরবানিতে গরুটি বিক্রি করবো ভেবেছিলাম। দাম চেয়েছিলাম ২৫ লাখ টাকা। সাড়ে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছিল। কিন্তু ভাবলাম আর একটু বড় করে আগামী বছর কুরবানিতে রাজাবাবুকে বিক্রি করবো। এখন বিক্রি করতে চাচ্ছি।

তিনি বলেন, দাম চাচ্ছি ৩৫ লাখ টাকা। রাজধানী ঢাকাসহ জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন। তবে এখন পর্যন্ত তারা তেমন দাম বলেননি। তবে আশা করছি রাজাবাবুকে এবার ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো ।

খামারি ইনছানের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, নিজের ছেলে-মেয়ের মতো রাজাবাবুকে বড় করেছি। পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের প্রাণিটির উপর মায়া জড়িয়ে গেছে। মন চায় না গরুটি বিক্রি করতে। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদেই রাজাবাবুকে বিক্রি করতে হবে। এ কথা বলতে বলতে তার চোখে পানি চলে আসে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ে রাজাবাবুকে লালন পালন করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের পরামর্শ ইনছান আলীকে দেয়া হয়েছে। এখন গরুটি যাতে ভালো দামে বিক্রি করা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের একটি অনলাই পেজ আছে। সেখানে রাজাবাবুর ছবি, মালিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে প্রচারণা চালাবো। আমরা গত বছরও এ প্রচারণা চালিয়েছিলাম। সেখান থেকে অনেক ফোন আসে।

তিনি আরও বলেন, এবারও আমরা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ এমনিতে খামারিরা বেশি মোটা গরু পালন করতে চান না। ইনছান আলী যদি রাজাবাবুর ভালো দাম পান তাহলে অনেক খামারি বড় গরু লালন পালনে আগ্রহী হবেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ