এশিয়ান রেডিও
এশিয়ান রেডিও
স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রবাসী আফসার মোল্লার স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিক ওবায়দুর মোল্যাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৪ মার্চ রোববার বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এই রায় দেন। আসামি জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় রায়ের সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিল।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি ওবায়দুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার পশ্চিম ভাটদী গ্রামের ওয়াহেদ মোল্যার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার পশ্চিম ভাটদী গ্রামের মৃত কাদের মোল্যার ছেলে আফসার মোল্যার সাথে পার্শবর্তী মধুখালী উপজেলার গন্ধখালী গ্রামের জলিল মুন্সীর মেয়ে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১১ ও ৮ বছরের দুটি সন্তান ছিলো। জীবিকার তাগিদে মনিরার স্বামী সৌদি থাকায় তার স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী ওবায়দুরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারই সূত্র ধরে নিহত মনিরা বেগম তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। গত ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাতে মনিরাকে স্বামীর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে মরদেহ ওই গ্রামের গম ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার ৪ দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী প্রথমে নিখোঁজ জিডি ও মরদেহ উদ্ধারের পরে ওবায়দুরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমালী থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুর রহমান হত্যা মামলাটি তদন্ত করে পরকীয়া প্রেমিক ওবায়দুর মোল্যার অভিযুক্ত প্রমাণ পাওয়ায় ১৭ মার্চ ২০১৯ সালে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের সহকারী কৌশূলী (পিপি) মো. সানোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত ওবায়দুর আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে মনিরা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করে। এছাড়া দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রোববার আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এই রায়ে রাষ্ট্র পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।
House-60, Block-A, Road-1, Gulshan 1, Niketon, Dhaka, Bangladesh.
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available