• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:১১:৫০ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:১১:৫০ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিয়ে হলো শিশু পরিবারের এতিম আয়শার

১৯ নভেম্বর ২০২৩ সকাল ১০:১১:৩৬

জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিয়ে হলো শিশু পরিবারের এতিম আয়শার

খুলনা প্রতিনিধি: এতিম কনের জমকালো বিয়ে নিয়ে খুলনা সরকারি শিশু পরিবারে ছিল উৎসবের আমেজ। নানা রঙে সাজানো হয় শিশু পরিবার প্রাঙ্গণ। ভবনজুড়ে ছিলো আলোকসজ্জা, ফুলে ফুলে সাজানো মঞ্চ। নাচ-গানের মাঝে হয়েছে গায়ে হলুদ। বাদ যায়নি রঙ উৎসব, আতশবাজির রোশনাই সব শেষ ভুরিভোজ তো ছিলই। উৎসবের কমতি ছিল না কোথাও। এতে চরম খুশি বর-কনেসহ অতিথিরা। ব্যাতিক্রমী এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনরা। সকলেই নবদম্পতির সংসার জীবনের কল্যাণ কামনা করেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত খুলনা সরকারি শিশু পরিবারে ২০১৩ সালে আশ্রয় হয় বাবা হারা আয়শা মিনার। গত ১০ বছরে এখানে থেকেই লেখাপড়া করছে, বর্তমানে নগরীর সরকারি পাইওনিয়ার গার্লস কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল সড়কে অবস্থিত শিশু পরিবারে ধুমধামে বিয়ে হলো তার। এর আগে ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ছিলো গায়ে হলুদ। বর মোহাম্মদ হোসেন পুলিশের নায়েক হিসেবে কর্মরত, বাড়ি সাতক্ষীরা জেলা সদরে। বর্তমানে তিনি খুলনা জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। উৎসবের কমতি ছিল না কোথাও।

আয়শা মিনা'র বিয়েতে কমতি ছিলো না কোথাও। বিয়ের দিন বরের গেট ধরা থেকে, জুতো চুরি সবই হয়েছে। উৎসবে আলো ছড়িয়েছে ওই পরিবারের সদস্য ১০০ অনাথ শিশু। হলুদের রাতে সবাই হলুদ শাড়ি, বিয়ের দিন মেরুন কালারের লেহেঙ্গা পরে তাদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে রঙিন হয়ে ওঠে শিশু পরিবার। শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বিয়ের আয়জনে যোগ দিয়েছিলেন খুলনার মহাৎপ্রাণ কিছু মানুষ। নতুন বর-কনেকে শুভেচ্ছা জানাতে সেখানে হাজির হন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকসহ জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিয়ের অনুষ্ঠানে আয়শার মা ও বোনেরা উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ে-হলুদ অনুষ্ঠানের মতো বর্ণিল আয়োজনে এখানকার শিশুরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় না। তাদের মাঝে বিয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আয়শা মিনার বিয়ে ধুমধাম করে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয় বললেন আয়োজনের উদ্যোক্তা খুলনা সরকারি শিশু পরিবারের উপতত্ত্বাধায়ক আবিদা আফরিন।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন জানান, শিশু পরিবারের মেয়েদের বিয়ে আমরা সব সময় ধুমধামে দেওয়ার চেষ্টা করি। এতো বর্ণিল আয়োজন আমাদের নিজেদের মেয়েদের বিয়েতেও হয় না।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ