• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৫:০১:১৮ (27-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর প্রথমবার মুখ খুললেন হেমা মালিনী

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুতে প্রথমবার কথা বললেন তার স্ত্রী ও সহ-অভিনেত্রী হেমা মালিনী। বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ৮৯ বছর বয়সে ধর্মেন্দ্র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২৪ নভেম্বরে। কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। মৃত্যুর দিন তার জুহু বাসভবনের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দেখা গেলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে নিশ্চিত হয়, তিনি আর নেই। মুম্বাইয়ের পওন হানস শ্মশানে তার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খানসহ চলচ্চিত্র জগতের বহু তারকা।  ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত দেওল পরিবার থেকে কেউ প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও অবশেষে সেই নীরবতা ভাঙলেন হেমা মালিনী । তিনি সামাজিক মাধ্যমে ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার স্বামীকে নিয়ে এক আবেগঘন বার্তা শেয়ার করেন, সঙ্গে তাদের জীবনের বহু অদেখা ছবিও প্রকাশ করেন। হেমা লিখেছেন, ধর্মজি ছিলেন তার জীবনের বহু পরিচয়ের সমষ্টি—স্নেহশীল স্বামী, দুই কন্যা ঈশা ও অহনার ভালোবাসার বাবা, বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি, এবং সঙ্কটের সময়ে ভরসার জায়গা। তিনি জানান, ধর্মেন্দ্র সবসময় পরিবারের সকলকে আন্তরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যে জড়িয়ে রাখতেন।হেমা আরও লিখেছেন, একজন জনমানুষ হিসেবে ধর্মেন্দ্রর প্রতিভা, জনপ্রিয়তার মাঝেও তার বিনয় ও সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা তাকে কিংবদন্তিদের মধ্যেও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে এই ক্ষতি তার জন্য ভাষায় প্রকাশের বাইরে এই শূন্যতা সারাজীবন বহন করতে হবে। এত দিনের সঙ্গের পর এখন স্মৃতিগুলোর মধ্যেই খুঁজে নিতে হবে তাকে।প্রসঙ্গত, বলিউডের কিংবদন্তি জুটি হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর প্রেম এবং বৈবাহিক জীবন ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর এবং তাদের চার সন্তান সানি, ববি, বিজেতা ও অজিতা দেওল। সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই হেমা এবং ধর্মেন্দ্রের প্রেমের সম্পর্ক গড় উঠে পরে  আর হেমার সঙ্গে প্রেম গড়ে উঠে।হেমা এবং ধর্মেন্দ্র এবং ১৯৮০ সালে তারা বিয়ে করেন। এই বিয়ে তখন ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করে। পরে তাদের সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা—ঈশা ও অহনা। সব বিতর্ক পেরিয়ে চার দশকের বেশি সময় তাদের দাম্পত্য জীবনে একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা ও গভীর বন্ধন অটুট ছিল। ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী একসঙ্গে ৪০টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেন। এসব সিনেমার মধ্যে অন্যতম ‘শোলে’, ‘নসীব’, ‘আলিবাবা অউর ৪০ চোর’,‘ছোট্ট সি বাত’, ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ ইত্যাদি।