ফটিকছড়িতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হেফজাতের স্মারকলিপি প্রদান

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: দেশের আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা সম্পর্কে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলার নেতৃবৃন্দরা।২১ মেবুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।এ সময় ইসলাম বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলা শাখার আমির মাও আইয়ুব বাবুনগরী, নায়েবে আমীর মাও জুনায়েদ বিন জালাল, যুগ্ন সেক্রেটারি মাও মাহমুদ শাহ ধর্মপুরী, মাও মুফতি খালেদ, মাও আজম উদ্দীন,  মাও মুফতি শওকত বিন হানিফ, মাও আবু তালেব ভুজপুরী, মাও আজিজুর রহমান, মাও হাবিবুল্লাহ ধর্মপুরী, মাও মুজিবুর রহমান, মাও শহিদুল্লাহ ধর্মপুরী ও মুফতি মুহাম্মদ বাবুনগরী উপস্থিত ছিলেন।স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের কথিত উপদেষ্টা ফজলুর রহমান একটি ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলে দেশের ওলামায়ে কেরাম ও লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননাকর, মূর্খতাপ্রসূত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি আলেম-ওলামাকে গর্ভে ধারণ করা হাজার হাজার গর্বিত মায়ের প্রতিও তিনি ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা বলতে ছাড়েননি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।তারেক রহমানের উদ্দেশে তারা বলেন, আমরা বিস্মিত এ ধরনের বাচাল ও ইতর শ্রেণির লোক কীভাবে আপনার দলের একজন উপদেষ্টা হতে পারে। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠিত সমগ্র ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতার আন্দোলনকে অকুণ্ঠচিত্তে সমর্থন দিয়েছিলেন আপনার ধর্মপ্রাণ দেশপ্রেমিক মা বেগম খালেদা জিয়া। সে কারণে তিনি আজও আমাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু ওই বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের গণঅবস্থানকালে ফজলুর রহমানের মতো আলেমবিদ্বেষী কিছু নেতাই আপনার দলকে বিভ্রান্ত করেছিল বলে আমরা মনে করি।তারা তারেক রহমানকে আরো বলেন, শাহবাগের ইন্ডিয়ান ছোবল থেকে সেদিন বিএনপিও রক্ষা পায়নি। ভুলে যাবেন না, তৌহিদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে শাহবাগের সেই দেশবিরোধী দানবের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে শতাধিক প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার সামরিক উপনিবেশ হওয়া থেকে রক্ষা করেছিল হেফাজতে ইসলাম। অথচ সেই আলেমসমাজ ও তৌহিদি জনতা সম্পর্কে আপনার দলের কথিত উপদেষ্টা অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন।আমরা এতে গভীরভাবে দুঃখ পেয়েছি। দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে আমরা আশা করি। নাহয় এমন কিছু নেতা আপনার দলের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে থাকবে। স্মারকলিপিতে তারা আরো উল্লেখ করেন, চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানেও আলেম-ওলামা ও মাদরাসাছাত্রদের অপরিসীম আত্মত্মত্যাগ উল্লেখযোগ্য। আজকের বাংলাদেশে আলেম-ওলামাকে অবজ্ঞা করে পথ চলার সুযোগ নেই। আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতাকে শত্রু বানালে ফ্যাসিস্টদের মতো পরিণতি বরণ করতে হবে। এছাড়া সমাজে আলেম-ওলামা ও মাদরাসাছাত্র সম্পর্কে পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া ও মার্কিন ওয়ার অন টেরর প্রজেক্টের প্রপাগান্ডা থেকে মুক্ত থাকার মতো জ্ঞানগত সক্ষমতা ও সচেতনতাও অর্জন এখন জরুরি।